কৃষকদের শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধ, খেতের ফসল জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি

ভারতে কৃষকদের চার ঘণ্টার রেল অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়ছবি: এএফপি

উত্তর ভারতে চলছে ফসল কাটার মৌসুম। পশ্চিম-উত্তর প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খেতের পাকা আখ চিনিকলে নিয়ে যাওয়ার এটাই সময়। ভারতে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে তাই কিছুটা ভাটার টান। এই পরিস্থিতিতে কৃষকনেতারা দিল্লি সীমান্তে আসার বদলে ডাক দিয়েছিলেন চার ঘণ্টার রেল অবরোধ কর্মসূচির। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আজ বৃহস্পতিবার শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হলো এই কর্মসূচি।

এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল ৪০টি কৃষক সংগঠনের সম্মিলিত সংযুক্ত ‘কিষান মোর্চা’। ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিল, ৬ ফেব্রুয়ারি ‘চাক্কা জ্যাম’ আন্দোলনের পর ডাক দেওয়া হয়েছিল চার ঘণ্টার ‘রেল রোকো’ বা রেল অবরোধ কর্মসূচির। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রেল অবরোধ কর্মসূচি চলে। অবরোধ চলাকালীন কৃষকেরা রেললাইনের ওপর বসে থাকেন। কৃষকনেতারা আগেই জানিয়েছিলেন আন্দোলন হবে পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ।

বেশ কিছু এলাকায় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে পুলিশকে ফুল দিতে দেখা গেছে। অনেক জায়গায় আটকে পড়া রেলযাত্রীদের অবরোধকারী কৃষকেরা খাবার ও পানি সরবরাহ করেন। রেল মন্ত্রণালয় আগে থেকেই দূরপাল্লার অনেক ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখার কথা জানিয়ে দিয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্যে অনেক ট্রেনযাত্রা বাতিলও করা হয়।

ভারতীয় ‘কিষান ইউনিয়ন’-এর নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, সরকার যেন না ভাবে কৃষকেরা সবাই ধরনা ছেড়ে ফসল কাটতে গ্রামে চলে যাবেন। দিল্লির সীমান্ত খালি করা হবে না। প্রয়োজনে খেতের ফসল জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। তবু আন্দোলন ছেড়ে কৃষক সরবে না। ফসল বোনা ও কাটা যেমন চলবে, অবরোধ আন্দোলনও তেমনই চলবে। তিনি জানান, এই আন্দোলন এবার পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।