গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল থাইল্যান্ড

ব্যাংককে সরকারবিরোধী বিক্ষোভফাইল ছবি

গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে থাইল্যান্ড। ব্যাংককে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থামাতে ঘোষণা করা জরুরি অবস্থা ব্যর্থ হওয়ার পর এ ঘোষণা এসেছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চারজনের বেশি একসঙ্গে জড়ো হওয়া নিষিদ্ধ এবং সন্ধ্যায় কারফিউ দেওয়ার পরেও হাজার হাজার মানুষ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ব্যাংককে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করছেন।

থাইল্যান্ডের সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গুরুতর পরিস্থিতি’ অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রাজতন্ত্রের ক্ষমতা খর্ব ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে থাইল্যান্ডে বিক্ষোভ চলছে। কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়েছে দেশটি।

থাইল্যান্ডে বেশ কিছুদিন ধরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে মানুষ
ছবি : রয়টার্স

বিবিসি জানিয়েছে, সংবিধান সংশোধন, নতুন নির্বাচন এবং অধিকারকর্মী ও রাষ্ট্রীয় সমালোচকদের হয়রানির অবসান ও গ্রেপ্তার করা বিক্ষোভকারীদের মুক্তির দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা। ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী প্রাউথ চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে হাজারো বিক্ষোভকারী রাজধানীতে জড়ো হন।

মূলত শিক্ষার্থীরাই এসব বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিক্ষোভ দমনে গত বৃহস্পতিবার জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির সরকার। গ্রেপ্তার করা হয় অন্তত ৮০ জনকে। রাজতন্ত্রের আইন লঙ্ঘনের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাঁদের লম্বা সময় কারাভোগ করতে হতে পারে। থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী, রাজপরিবারকে অবমাননা করলে ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

জরুরি অবস্থা জারির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার, বৈদ্যুতিক সামগ্রী জব্দ এবং নির্দিষ্ট সম্প্রচার বা প্রকাশনা নিষিদ্ধ করার সুযোগ পায়। গত মঙ্গলবার ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রাম বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় থাই সরকার।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন