গাজা সীমান্তে ইসরায়েলের ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন

গাজা সীমান্তে ইসরায়েলের সমরাস্ত্র। ফিলিস্তিন, ১৩ মে
ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। তবে এসব সমরাস্ত্র ব্যবহার করে ফিলিস্তিনে হামলা চালানো হবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে। আর ইসরায়েলের বাহিনী বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। এসব হামলায় গাজায় ২৭ শিশুসহ নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি। আর ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ৭ জন।

এ ছাড়া ইসরায়েলে ইহুদি ও ইসরায়েলি আরব (যাঁরা নিজেদের ফিলিস্তিনি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন) নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এই দুই পক্ষের মধ্যকার উত্তেজনা হ্রাসে ব্যাপক নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ। পরিস্থিতি সামাল দিতে চার শতাধিক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে গাজা সীমান্তে দুটি পদাতিক ও একটি সাঁজোয়া ইউনিট মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া সীমান্তে অতিরিক্ত ৭ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে দেশটি। তবে ফিলিস্তিনে হামলা চালানো হবে কি না, সেই বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। ফিলিস্তিনে হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলের সেনাপ্রধানের এবং সরকারের বিভিন্ন স্তরের অনুমোদের প্রয়োজন রয়েছে।

চার দিন ধরে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালের পর ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, গতকাল লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের উপকূলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। এদিন ইসরায়েলও ফিলিস্তিনিদের গোয়েন্দা সংস্থার ভবন, বাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

সংঘাতময় পরিস্থিতি মাথায় রেখে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, কেএলএম, ভার্জিন আটলান্টিক এয়ারলাইনস তাদের সেবা বন্ধ রেখেছে।