গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নওয়াজের জামাতার জামিন

মোহাম্মদ সফদার

গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের জামাতা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ সফদার। এক লাখ রুপি জামানতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। ডনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

সফদার যখন আদালতে তখন তাঁর স্ত্রী ও পিএমএল-এনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ সংবাদ সম্মেলন করছিলেন। পরে মরিয়ম সেখানেই তাঁর স্বামীর জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মরিয়ম বলেন, ‘আমরা দুজনই একসঙ্গে করাচি ছাড়ব। কারণ, এখনই মরিয়ম আওরঙ্গজেব (দলের মুখপাত্র) আমাকে তাঁর (সফদার) জামিন মঞ্জুরের বিষয়টি জানিয়েছেন।’

সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে আজ সোমবার ভোরে এক হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মরিয়ম নওয়াজ অভিযোগ করেছেন, পুলিশ হোটেলের কক্ষের দরজা ভেঙে ঢুকে তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে। সে সময় তাঁরা ঘুমাচ্ছিলেন।

সফদারকে গ্রেপ্তারের পর আজিজ ভাট্টি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে সিটি কোর্টে হাজির করা হয়। সেখানে পুলিশ তাঁর রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল। এরই মধ্যে সফদার গ্রেপ্তার–পরবর্তী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আদালতের বাইরে পিএমএল-এন ও পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।

গতকাল রোববার করাচিতে বাগ-ই-জিন্নাহতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সমাধি এলাকায় বিরোধী দলগুলোর জোট পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করে। সেখানে স্লোগান দেন সফদার। এর পরদিনই তিনি গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে সমাধির পবিত্রতা নষ্টের অভিযোগে মরিয়ম, সফদার ও তাঁদের ২০০ অনুসারীর বিরুদ্ধে ওয়াকাস আহমেদ নামের এক ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, পিএমএল-এনের নেতারা দুই শতাধিক সমর্থক নিয়ে সমাধিতে পৌঁছান। সফদার কবরের চারপাশের বেষ্টনী টপকে ভেতরে ঢুকে পড়েন। অভিযোগকারী ওয়াকাস আহমেদ তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেও পারেননি। এরপর সফদার তাঁকে ও তাঁর লোকজনকে হত্যার হুমকি দেন।

মরিয়ম নওয়াজ ও জেইউআই–এফের প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান দাবি করেন, এই গ্রেপ্তারের মূল উদ্দেশ্যই হলো সরকারবিরোধী জোটে ফাটল ধরানো। মরিয়ম বলেন, তিনি এক মুহূর্তের জন্যও ভাবেননি সিন্ধু সরকারের নির্দেশে এই গ্রেপ্তারকাণ্ড হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মরিয়ম বলেন, সিন্ধু পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) সেক্টর কমান্ডার দপ্তরে নিয়ে জোর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় সই করানো হয়। কিন্তু আইজিপি রাজি না হওয়ায় তাঁকে বলা হয়, সীমান্তরক্ষী বাহিনী এই গ্রেপ্তার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কিন্তু সই করার পর বলা হয়, পুলিশ এই গ্রেপ্তার কার্যক্রম চালাবে।

আরও পড়ুন