জনমত সমীক্ষা: তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও মমতার জিতে যাওয়ার ইঙ্গিত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রয়টার্স ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের তীব্র লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে জয় পাবে তৃণমূল। এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটারের করা সর্বশেষ জনমত জরিপের ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তফসিল ঘোষণার পরপরই গতকাল শনিবার এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার তাদের সর্বশেষ জনমত সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে। এতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, এবারের নির্বাচনে লড়াই হবে তীব্র। তবে জয় পাবে তৃণমূলই।

এবিপি আনন্দ এবং সি-ভোটারের দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা শেষে গতকাল শনিবার রাতে প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিততে পারে ১৪৮ থেকে ১৬৪টি আসন। সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৮টি আসন।

বিজেপি জিততে পারে ৯২ থেকে ১০৮টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট জিততে পারে ৩১ থেকে ৩৯টি আসন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী এই সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় ২৯৪ আসনের ৩৮ হাজার ৯৩২ জন ভোটার অংশ নেন।

অন্যদিকে সিএনএক্স তাদের দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলছে, তৃণমূল জিততে পারে ১৪৬ থেকে ১৫৬টি আসন। বিজেপি জিততে পারে ১১৩ থেকে ১২১টি আসন। আর বাম-কংগ্রেস জোট জিততে পারে ২০ থেকে ২৮টি আসন।

২০১৬ সালের সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল জিতেছিল ২১১টি আসন, বিজেপি ৩টি আসন এবং বাম-কংগ্রেস জোট জিতেছিল ৭৭টি আসন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট। বাম-কংগ্রেস জোট পায় ৩২ শতাংশ এবং বিজেপি পেয়েছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ ভোট।

গতকাল শনিবার প্রকাশিত সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতাকে পছন্দ করেছেন ৫৫ শতাংশ ভোটার। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে পছন্দ করেছেন ২৫ শতাংশ ভোটার। বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে ৯ শতাংশ ভোটার, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীকে ৩ শতাংশ এবং কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে পছন্দ করেছেন ২ শতাংশ ভোটার।