জাপানের প্রধানমন্ত্রী হলেন ফুমিও কিশিদা
জাপানের প্রধানমন্ত্রী হলেন ফুমিও কিশিদা। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
আজ সোমবার জাপানের পার্লামেন্ট ভোটের মাধ্যমে ফুমিও কিশিদাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। তিনি আজই তাঁর সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করতে পারেন।
৬৪ বছর বয়সী ফুমিও কিশিদা জাপানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নীতি গবেষণা পরিষদের সাবেক প্রধান।
জাপানের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের আজকের ভোটাভুটিতে ফুমিও কিশিদার পক্ষে ৩১১ ভোট পড়ে। তাঁর প্রতিপক্ষ বিরোধী নেতা ইয়োকিও এদানো পান ১২৪ ভোট।
ভোট গ্রহণ শেষে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফুমিও কিশিদার নাম ঘোষণা করেন স্পিকার তাদামোরি ওশিমা।
গত সপ্তাহে এক নির্বাচনের মাধ্যমে এলডিপির নতুন নেতা নির্বাচিত হন ফুমিও কিশিদা। প্রতিদ্বন্দ্বী তারো কোনোর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জয় পান ফুমিও কিশিদা।
ফুমিও কিশিদার পূর্বসূরি ইয়োশিহিদে সুগা গত সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর পার্লামেন্টের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ফুমিও কিশিদা। তবে এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। অবশ্য আগে ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর আজই নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করতে পারেন ফুমিও কিশিদা। তাঁর মন্ত্রিসভায় একাধিক নতুন মুখ দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ফুমিও কিশিদার মন্ত্রিসভায় পুরোনো সদস্যদের মধ্যে অনেকে আগের দায়িত্বে বহাল থাকতে পারেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি গণমাধ্যম। খবরে বলা হয়, সুগা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাঁদের পদে থেকে যেতে পারেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে শুনিচি সুজুকির নাম ঘোষণা করা হতে পারে বলে খবর মিলেছে। ফুমিও কিশিদার মন্ত্রিসভায় তিনজন নারী দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফুমিও কিশিদাকে নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে বলে বিবিসি অনলাইন জানায়।
সামনেই দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচন। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন এলডিপি কেমন ফল করবে, তা নির্ভর করছে ফুমিও কিশিদার কাজকর্মের ওপর। পাশাপাশি তাঁকে করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি সামলাতে হবে। সামলাতে হবে উত্তর কোরিয়ার সামরিক হুমকি।