তেল আবিবের পাশের এলাকায় জরুরি অবস্থা

বিক্ষোভের সময় পুড়ে যাওয়া গাড়ি। ইসরায়েলের লড শহর, ১২ মে
ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের লড শহরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। শহরটি ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান শহর তেল আবিব থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। ইসরায়েলে বসবাসরত এক ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, লড শহরে মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা জারির আগে সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া সংঘর্ষে আহত হন ১২ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইসরায়েলি পুলিশ স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। আর বিক্ষোভকারীরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। সেখানকার পরিস্থিতিকে গৃহযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করেছেন শহরটির মেয়র ইয়ার রেভিভো। তিনি বলেন, সব ইসরায়েলির জানা উচিত, এই শহর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

আরও পড়ুন

টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ১৯৬৬ সালের পর এই প্রথম সরকার জরুরি অবস্থা জারি করেছে। জরুরি অবস্থা জারির পর নেতানিয়াহু বলেন, প্রয়োজন হলে কারফিউ জারি করা হবে।

আরও পড়ুন

ইসরায়েলে বসবাসরত আরব নাগরিকদের ইসরায়েলি আরব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া তাঁরা নিজেদের ইসরায়েলে বসবাসরত ফিলিস্তিনি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। ইসরায়েলি এক নাগরিকের গুলিতে এমন একজন নাগরিক নিহত হন। তাঁর দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ বলেছে, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। পরে জরুরি অবস্থা জারির পর পশ্চিম তীরের সীমান্ত পুলিশ সদস্যদের লড শহরে আনা হয়।
ইসরায়েলের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের সময় বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও সিনাগগে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা।