থাইল্যান্ড করোনা হাসপাতালের শয্যা ১০ হাজারে করছে

করোনা রোগীদের জন্য তৈরি ফিল্ড–হাসপাতালে শয্যা প্রস্তুত করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ব্যাংকক, ১০ এপ্রিল
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে থাইল্যান্ড ফিল্ড–হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ১০ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে। দেশটির এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আজ শনিবার এ তথ্য জানান বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীর ব্যাংককে অন্তত ১২টি হাসপাতাল গতকাল শুক্রবার কিটের অভাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে। হাসপাতালগুলো পরীক্ষা করার ব্যাপারে তেমন আগ্রহীও নয়। কারণ, পজিটিভ এলে রোগীদের অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

থাইল্যান্ডের মেডিকেল সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক সুকসান কিত্তিসুপাকর্ন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য, দ্রুতই হাসপাতালের শয্যা ১০ হাজারে উন্নীত করা। এতে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে, যে আমরা করোনার এই পর্যায়ের মহামারিও মোকাবিলা করতে পারব।’

আজ দেশটিতে নতুন করে ৭৮৯ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৫৮জন।

এই মাসে দেশটিতে ২ হাজার ৬৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে ১ হাজার ৫৮ জনই ব্যাংককের।

হাসপাতালের ভেতরে যাওয়ার আগে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে পিপিই পরিয়ে দিচ্ছেন সহকর্মীরা। ব্যাংকক, ১০ এপ্রিল
ছবি: রয়টার্স

সামনের সপ্তাহেই দেশটিতে বড় ধরনের সরকারি ছুটি। আর এ সুযোগে দেশটি পর্যটকদের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া চিন্তাভাবনা করছিল। আর এর মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানল।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রয়োথ চান-ওচা জনগণকে সংক্রমণ কমানোর আহ্বান জানিয়ে আজ পডকাস্ট করে বলেন, ‘আমি খুবই উদ্বিগ্ন। কারও যদি বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন না পড়ে, তাহলে দয়া করে ঘরে থাকুন।’

থাইল্যান্ডে আগামী জুন থেকে সর্বসাধারণের টিকাদান শুরু করার কথা। এরই মধ্যে ৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী ও ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশটির সরকারের উপমুখপাত্র ত্রাইসুরি ত্রাইসোরানাকুল বলেন, আজ থাইল্যান্ড চীনের সিনোভ্যাকের কাছ থেকে ১০ লাখ টিকা পেয়েছে। আরও ৫ লাখ এ মাসেই পাওয়া যাবে।