থাইল্যান্ডে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

২০১৯ সালের নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক প্রচারণার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে থাইল্যান্ডের সামরিক জান্তা। চার বছরের বেশি সময় আগে দেশটিতে অভ্যুত্থানের পর আরোপ করা এই নিষেধাজ্ঞা অবশেষে প্রত্যাহার করা হলো।

২০১৪ সালের মে মাসে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সব ধরনের কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ফলে এত দিন ধরে দেশটিতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধ ছিল। আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই নিষেধাজ্ঞা ওঠে গেল। আগামী বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজপরিবারের মুখপাত্র রয়্যাল গেজেটে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নীতি তুলে ধরার জন্য প্রচারণা চালাতে পারবে। নির্বাচনের আগে প্রচারণা চালানোর জন্য সামরিক জান্তা নিষেধাজ্ঞা-সংক্রান্ত বিধান বিলোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে থাইল্যান্ডের শাসকেরা কিছু কিছু বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুরু করে। এর আওতায় রাজনৈতিক দলগুলো নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নেতা নির্বাচন করে। তবে প্রচারণা ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধই থাকে। থাইল্যান্ডের আইনি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান আইলের অ্যানন চাওয়ালাওয়ান বলেন, সরকারি ভবন বা রাজভবন এলাকার মতো নিয়ন্ত্রিত এলাকার কাছাকাছি সভা বা শোভাযাত্রা করতে দেওয়া হয় কি না, সেটা দেখতে হবে। তাহলেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া কতটা কার্যকর হয়েছে, তা বোঝা যাবে। মানবাধিকার-বিষয়ক আইনজীবী পাউইনি চুমস্রি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
থাইল্যান্ডের সামরিক জান্তার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা রাজপথে নেমে এলে সেনাবাহিনী দেশের স্বার্থে ক্ষমতা নিতে বাধ্য হয়। ওই সময় তারা যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়ার আশ্বাস দিলেও পেরিয়ে গেছে চার বছরের বেশি সময়।