থাইল্যান্ডে রাবারের হাঁস নিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদ

থাইল্যান্ডে রাবারের হাঁস নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন গণতন্ত্রপন্থীরা
ছবি: রয়টার্স

থাইল্যান্ডে বেশ কিছুদিন ধরেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার কয়েক হাজার গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী ব্যাংককের একটি বড় জংশন কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। তাঁরা অভ্যুত্থান প্রতিরোধ কৌশলের মহড়া হিসেবে এ প্রতিবাদ করেন। রাবারের হাঁস নিয়ে রাস্তায় নামেন তাঁরা। হলুদ রাবার হাঁস আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে দেশটিতে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

থাইল্যান্ডে তরুণদের নেতৃত্বে নতুন সংবিধানের দাবিতে কয়েক মাস ধরে তীব্র বিক্ষোভ হচ্ছে। তাঁরা দেশটির প্রায় অস্পৃশ্য রাজতন্ত্রের পুনর্গঠন ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচার পদত্যাগ দাবি করছেন।

২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন প্রায়ুত। বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে এ সপ্তাহে মার্শাল ল জারি বা নিজে সরে দাঁড়ানোর বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যাংককের একটি অফিসের কর্মকর্তা নাতালি (৩২) বলেন, সর্বশেষ অভ্যুত্থান থাইল্যান্ডের জন্য ধ্বংসাত্মক ছিল এবং দেশ যাতে আর সে পথে না যেতে পারে, সে জন্য সতর্ক থাকা উচিত।

নাতালি বলেন, ‘থাইল্যান্ড ও ব্যাংককে নতুন এ সমস্যার মুহূর্তে আমি প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের জন্য নতুন নির্বাচন চাই, যাতে জনগণের কথা শোনার মতো নতুন সরকার পাওয়া যায়।’

গতকাল শুক্রবারের বিক্ষোভকে আন্দোলনকারীরা অভ্যুত্থানপ্রতিরোধী মহড়া বলছেন।

থাইল্যান্ডের সেনাপ্রধান নরঙ্গফান জিত্তেওয়াতা অভ্যুত্থানের গুজব প্রত্যাখ্যান করেছেন। আরেকটি অভ্যুত্থানের আশঙ্কাকে শূন্যের চেয়ে কম বলেছেন তিনি।

থাইল্যান্ডে গত সপ্তাহে সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ ও বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার প্রতিবাদে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারীরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

বিক্ষোভ দমাতে বিতর্কিত একটি আইন আবার চালু করছে দেশটি। এ আইনের আওতায় রাজা বা রাজপরিবারের কোনো সমালোচনা করা যাবে না। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ছয় নেতার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ আনা হতে পারে।