দুর্নীতি মামলায় রায়ের অপেক্ষা, ১৫ বছরের সাজা হতে পারে সু চির
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে করা একাধিক দুর্নীতি মামলার একটির রায় আজ সোমবার ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। সেনাশাসিত দেশটির আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ১৫ বছরের সাজা হতে পারে। খবর রয়টার্সের।
গত বছরের সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন সু চি। এর পর থেকে এই নোবেল বিজয়ীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উসকানি ও দুর্নীতি থেকে শুরু করে নির্বাচনী, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সম্মিলিতভাবে তাঁর সর্বোচ্চ সাজার পরিমাণ ১৫০ বছর ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এখন পর্যন্ত অং সান সু চি দুটি তুলনামূলক ছোট অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং তাঁর ছয় বছরের সাজা হয়েছে। বাকি মামলাগুলোর রায় হতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। এতে দেশটির স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া সু চির রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই বললেই চলে।
মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ইয়াঙ্গুনের সাবেক চিফ মিনিস্টার ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার ও ১১ দশমিক ৪ কেজি স্বর্ণ ঘুষ নেওয়ার মামলায় আজ রায় দিতে পারেন বিচারক। একসময় ফিওকে সু চির উত্তরসূরি মনে করা হতো।
সু চির এ শিষ্য অক্টোবরে সাক্ষ্য দেন, সমর্থন পেতে তাঁকে এই অর্থ ও স্বর্ণ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই সাক্ষ্য জাতীয় টেলিভিশনে আলাদাভাবে সম্প্রচার করে সেনা সরকার। তবে এই অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ মন্তব্য করে নাকচ করে দেন সু চি।
অজ্ঞাত স্থানে ৭৬ বছর বয়সী সু চিকে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হয় না। নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
সু চির বিচার–সম্পর্কিত তথ্যের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সেনা সরকার। এ নিয়ে তাঁর আইনজীবীকে মুখ খুলতেও বারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিচারকে প্রহসন আখ্যা দিয়েছে। তবে সেনা সরকারের দাবি, যথাযথ নিয়ম মেনে একটি স্বাধীন আদালতে সু চির বিচার হচ্ছে।