দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে মন্ত্রী গ্রেপ্তার

এ ডি প্রাবৌ

ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রীকে বুধবার গ্রেপ্তার করেছে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। চিংড়ির পোনা রপ্তানি করা নিয়ে এক দুর্নীতির অভিযোগের ওপর তদন্তের অংশ হিসেবে চালানো যুগপৎ এই অভিযানে আরও ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ১৭ জনের মধ্যে মন্ত্রী এ ডি প্রাবৌর স্ত্রীও রয়েছেন। প্রাবৌ তাঁর আইনপ্রণেতা স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার সময় জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হন। আর রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে একই দিন সকালে গ্রেপ্তার করা হয় অন্যদের।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর অঙ্গীকার করে প্রেসিডেন্ট উইদোদো ২০১৪ সালে নির্বাচিত হন। পরে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে ঢোকানো হয়।

করাপশন ইর‍্যাডিকেইশন কমিশন (কেপিকে) এসব তথ্য জানিয়ে বলেছে, চিংড়ির মজুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে চলতি বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এটির রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু তা অমান্য করে রপ্তানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্ত করছে তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা লোকজনের মধ্যে বেসরকারি খাতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যেমন রয়েছেন, তেমনি আছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এদিকে নিজ মন্ত্রিসভার একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজে তাঁর সরকারের সমর্থন আছে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর অঙ্গীকার করে প্রেসিডেন্ট উইদোদো ২০১৪ সালে নির্বাচিত হন। পরে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে ঢোকানো হয়। তাঁর শাসনামলে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী কমিশন দুর্বল হয়েছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।

অভিযোগ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে সমুদ্র ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রী এ ডি প্রাবৌর মন্তব্য জানা না গেলেও তাঁর মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তাঁর বিষয়ে চলমান আইনি প্রক্রিয়াকে শ্রদ্ধা দেখাবে তারা।

২০১৯ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রকাশ করা দুর্নীতির ধারণা সূচকে ১৯৮টি দেশের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান ছিল ৮৫তম। এর আগের বছরের তুলনায় এটি ছিল চার ধাপ অগ্রগতি।