পত্রিকা অফিসে অভিযান, সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৫

২০১৯ সালে হংকংয়ের নতুন আইনের বিরোধিতা করে রাস্তায় নামেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তাঁরা
ফাইল ছবি: রয়টার্স

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী সংবাদপত্র অ্যাপল ডেইলির কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়েছে হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা পুলিশ। অভিযানে সেখান থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক রায়ান ল ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চিওয়ং কিম-হাংও ছিলেন।

পুলিশের ৫০০ সদস্য আজ ভোরে এই অভিযানে অংশ নেন। এ সময় তাঁরা সাংবাদিকদের ফোন ও কম্পিউটারও তল্লাশি করেন। পুলিশ বলছে, সম্প্রতি হংকং ও চীনের নেতাদের বিরুদ্ধে অ্যাপল ডেইলি ‘নিষেধাজ্ঞার আবেদন’ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন প্রকাশের দায়ে শহরটির নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে গ্রেপ্তারের ঘটনা এটিই প্রথম। অবশ্য অ্যাপল ডেইলির কার্যালয়ে এটা পুলিশের দ্বিতীয় অভিযান। এর আগে গত বছর বিদেশি শক্তিগুলোর সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ তুলে পত্রিকাটির মালিক ও গণতন্ত্রপন্থী জিম্মি লাইকে গ্রেপ্তারে সেখানে অভিযান চালানো হয়েছিল। গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার দায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ডিসেম্বর থেকে কারাভোগ করছেন লাই।

পুলিশ জানিয়েছে, এই পাঁচজনকে জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংবাদপত্রটির সদর দপ্তরের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের জ্যেষ্ঠ সুপারিনটেনডেন্ট লি কোয়াই-ওয়াহ বলেন, উসকানিমূলক, চীন ও হংকংয়ের ওপর অবরোধ আরোপে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দায় রয়েছে।

অভিযানের পর সাংবাদিকেরা তাঁদের বার্তাকক্ষে গিয়ে দেখেন, সেখান থেকে ৩৮টি কম্পিউটার ও সাংবাদিকদের ব্যবহার করা নোটপ্যাড নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে হংকং কর্তৃপক্ষ পত্রিকাটির ২৩ লাখ মার্কিন ডলারের সম্পত্তি জব্দ করেছে বলে জানিয়েছে। হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে কোনো ব্যক্তির পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করার ঘটনা এটিই প্রথম।

তবে ঠিক কোন প্রতিবেদনের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে, সেটি জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন হংকংয়ের নিরাপত্তাসচিব জন লি। তিনি বলেন, ‘আমাদের অভিযান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বা সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে নয়। আমরা তাঁদের লক্ষ্য করছি, যাঁরা সাংবাদিকতাকে ব্যবহার করে জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছেন।’