ফিলিপাইনে চীনা টিকার অনুমোদন, তবে...

এএফপি ফাইল ছবি

ফিলিপাইনের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ চীনের তৈরি করোনা টিকার জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে। আজ সোমবার এ অনুমোদন দেওয়া হয়। চলতি সপ্তাহেই চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের তৈরি করোনার টিকা দেশটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে ফিলিপাইনের স্বাস্থ্যকর্মীদের এ টিকা দেওয়া হবে না। বলা হয়েছে, সিনোভ্যাকের তৈরি টিকার কার্যকারিতা তুলনামূলকভাবে কম থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনে তৃতীয় করোনার টিকা হিসেবে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে ‘করোনাভ্যাক’। তবে এখনো পর্যন্ত করোনার কোনো টিকার চালানই দেশটিতে পৌঁছায়নি। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের সরকার তোপের মুখে রয়েছে।

চীন সরকারিভাবে জানিয়েছে, ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ফিলিপাইনে ৬ লাখ ডোজ করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে। যদিও চীনের তৈরি টিকার কার্যকারিতা ও তা আদৌ নিরাপদ কি না, সেটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে।

ফিলিপাইনের ওষুধ ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের প্রধান এরিক ডমিঙ্গো বলেন, ‘চীনের তৈরি করোনার টিকা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, পরীক্ষায় করোনাভ্যাক নামের টিকাটি ‘স্বাস্থ্যকর’ বলে প্রমাণিত হয়েছে এবং এটি ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের দেওয়া যাবে। তবে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্কদের এ টিকা দেওয়া হবে না।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র হ্যারি রোক বলেছেন, অর্থনীতিতে অবদান রাখা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সেনাসদস্যদের টিকার প্রথম ডোজ শুরুতে দেওয়া হতে পারে।

তুরস্কে চীনের তৈরি করোনাভ্যাক টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছিল। তাতে এটি ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ কার্যকর বলে জানা গিয়েছিল। তবে ব্রাজিলে হওয়া পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, করোনাভ্যাকের কার্যকারিতা ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। এ ধরনের ফলাফলের কারণে চীনের এই টিকার কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।