ফুকুশিমার পানি শোধন করে সাগরে ছাড়বে জাপান

ফুকুশিমার পরমাণু কেন্দ্রের দূষিত পানির ট্যাংক
প্রথম আলো ফাইল ছবি

ফুকুশিমার পরমাণু কেন্দ্রের দূষিত পানি শোধন করে সাগরে ছাড়বে বলে জানিয়েছে জাপান। আজ মঙ্গলবার দেশটির সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। জাপানের এ ঘোষণায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। দেশটি বলেছে, জাপানের এমন সিদ্ধান্ত ‘অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন’।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, জাপানের এ কাজ গত কয়েক বছরে শুরু হয়নি এবং এটি শেষ হতেও কয়েক দশক লেগে যেতে পারে। তবে এরই মধ্যে জাপানের এই পদক্ষেপে বিতর্ক উঠেছে। এর বিপক্ষে আছে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায়। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, এর ফলে তাঁদের ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হবে।

জাপান অবশ্য বলছে, ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয় পানি শোধন করা হচ্ছে এবং সেই পানি সম্পূর্ণ নিরাপদ। তা থেকে তেজস্ক্রিয় সব পদার্থ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাও (আইএইএ) শোধিত পানি সাগরে ছাড়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে বলেছেন, শোধিত পানি সাগরে ছাড়ার বিষয়টি অনিবার্য ছিল। পানি নিরাপদ কি না, সেটি নিশ্চিত হয়েই তা সাগরে ছাড়া হবে।

২০১১ সালের ১১ মার্চ প্রচণ্ড এক ভূমিকম্প থেকে শুরু হওয়া সুনামি ও জলোচ্ছ্বাসে জাপানের ফুকুশিমা জেলার ওকুমা গ্রাম ও ফুতাবা শহর ঘিরে অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারটি পারমাণবিক চুল্লি প্লাবিত হয়। এতে কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে সূচনা হয়েছিল সাম্প্রতিক সময়ে জাপানের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের।
ফুকুশিমার প্রায় ১০ লাখ টনেরও বেশি তেজস্ক্রিয় পানি শোধন করে সাগরে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে জাপান। তবে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় এর বিরোধিতা করছে। তাদের আশঙ্কা, এতে করে ওই অঞ্চলের সামুদ্রিক খাবারের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে।