বাগদত্তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জেল–জরিমানা

নিগেল স্কেয়া ও আগাথা মাঘেষ ইয়ামালাইয়া (বায়ে) নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেন।
ছবি: রয়টার্স

বাগদত্তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সিঙ্গাপুরে হোটেল কোয়ারেন্টিন ভেঙে জরিমানার মুখে পড়লেন এক ব্রিটিশ। তাঁকে দুই সপ্তাহের কারাদণ্ড ও এক হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার জরিমানা করা হয়। রেহাই পাননি বাগদত্তাও। তাঁকেও এক সপ্তাহের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে এখন তাঁরা বিবাহিত।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম নিগেল স্কেয়া (৫২)। একটি অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিনি তাঁর সিঙ্গাপুরি বাগদত্তা আগাথা মাঘেষ ইয়ামালাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। আগাথা কোয়ারেন্টিনে না থাকলেও ওই হোটেলে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে রেখেছিলেন। রুম থেকে বের হওয়ার পাশাপাশি নিগেল সে সময় মাস্কও পরেননি।

বিচারক জাসভেনদর কাউর বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর নিগেল তাঁর রুম থেকে তিনবার বের হওয়ায় তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে।

সিঙ্গাপুরে বাইরে থেকে কেউ গেলে তাঁকে বাধ্যতামূলক হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। কোয়ারেন্টিন ভঙ্গের দায়ে ১০ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার বা সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডেই দণ্ডিত হতে পারেন।

গত নভেম্বর তাঁদের বিয়ে হয়েছে। নিয়ম ভাঙতে উৎসাহী করায় আগাথাকে এক সপ্তাহের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এই দম্পতির আইনজীবী এস এস ধিলন রয়টার্সকে বলেন, দুজনই অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁরা এর বিরুদ্ধে আপিল করবেন না।

বিবিসির খবরে বলা হয়, আদালত জানতে পেরেছেন নিগেল অনেকগুলো সিঁড়ি ভেঙে বাগদত্তার সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়েছিলেন। তাঁর হবু স্ত্রী রুমের জরুরি নির্গমন দরজা খুলে রেখেছিলেন। তাঁরা একসঙ্গে ৯ ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিলেন। এ ছাড়া সাউথহ্যাম্পটন থেকে আসা নিগেলকে বারান্দায় দুবার ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে।

করোনা মহামারি ঠেকাতে সফল দেশগুলোর অন্যতম সিঙ্গাপুর নগররাষ্ট্র। গত জুনে সিঙ্গাপুরে থাকা একদল ব্রিটিশ বারে যাওয়ার জন্য লকডাউন ভঙ্গ করেছিলেন। এ জন্য তাঁদের সিঙ্গাপুরে কাজ করার অনুমতি বাতিল করা হয়। তখন তাঁদের প্রত্যেককে ৯ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার জরিমান করা হয়।