বিশৃঙ্খলায় জড়িত সদস্যদের তালেবানের তিরস্কার

গাড়িতে করে তালেবান সদস্যদের টহল
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে তালেবান। জানানো হয়, সংগঠনটির সদস্যদের মধ্যে ক্ষমতার কোনো ধরনের অপব্যবহার সহ্য করা হবে না। এরপরও কিছু সদস্যের বিশৃঙ্খলার খবর সামনে এসেছে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। এর জের ধরে তাঁদের তিরস্কার করেছে তালেবান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে এ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতা মোহাম্মদ ইয়াকুব। পোস্টে এক অডিও বার্তায় তিনি বলেন, কিছু দুর্বৃত্ত ও আফগানিস্তানের সাবেক সেনাবাহিনীর সদস্য তালেবানে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছেন। এসব সদস্যকে তালেবান বাহিনী থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন ইয়াকুব। এই নির্দেশনা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

তালেবান নেতাদের অনুমতির তোয়াক্কা না করে এসব সদস্য হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন মোহাম্মদ ইয়াকুব। এ ধরনের কোনো কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তবে কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তালেবানের এই নেতা এমন অভিযোগ এনেছেন, তা টুইটে জানানো হয়নি। মোহাম্মদ ইয়াকুবের ভাষ্য, ‘আফগানিস্তানে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর কোনো মুজাহিদ কারও ওপর প্রতিশোধ নিতে পারবেন না।’

তালেবান সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল শুধু ইয়াকুবই তোলেননি, রাজধানী কাবুলের কয়েকজন বাসিন্দাও তালেবানের সদস্যদের হাতে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তালেবানের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশটির সাবেক সরকারের সদস্য ও অধিকারকর্মীদের ওপর প্রতিহিংসামূলক আচরণের একাধিক খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে তালেবানের অনেক সদস্যকে আফগানিস্তানের নানা সরকারি অফিসে অযথা ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে বলে অডিও বার্তায় জানান ইয়াকুব। তাঁদের অনেককে সেখানে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন তালেবানের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সবাই মুঠোফোন বের করে ছবি তুলছে—বিষয়টি খুবই আপত্তিকর। এ ধরনের ঘোরাঘুরি এবং ছবি তোলা ও ভিডিও করা ইহকাল-পরকাল কোথাও কাজে আসবে না।’