বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৩ কোটি ৯৮ লাখ ছাড়াল

করোনা সংক্রমণের হালনাগাদ তথ্য রাখছে জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি
ছবি: জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার ছাড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে আজ সোমবার সকাল নাগাদ করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগী ৩ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৬ জন।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছে ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৩৫ জন।

বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার ৭ জন।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৯৩ জন। মারা গেছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৬৬৯ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫১ জন। দেশটিতে মারা গেছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩১ জন।

ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫২ লাখ ২৪ হাজার ৩৬২ জন। দেশটিতে মারা গেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৭৫ জন।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। আর্জেন্টিনা পঞ্চম। কলম্বিয়া ষষ্ঠ। সপ্তম স্পেন।

অষ্টম ফ্রান্স। পেরু নবম। মেক্সিকো দশম।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।

১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।

১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’।

১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার পর্যন্ত দেশে নিশ্চিত করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৯।

দেশে এ পর্যন্ত করোনায় ৫ হাজার ৬৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৯৭২ জন।

মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ২৩ শতাংশ।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, আক্রান্তের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার কম। কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলে এটি আরও কমানো সম্ভব।

গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সরকার।