মাধ্যমিক স্কুলে যাওয়ার দাবিতে কাবুলে মেয়েদের বিক্ষোভ

মেয়েদের জন্য মাধ্যমিকের স্কুল খুলে দেওয়ার দাবিতে কাবুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেন বেশ কয়েকজন আফগান নারী ও মেয়ে
ছবি: এএফপি

আফগানিস্তানে মাধ্যমিক পর্যায়ে মেয়েশিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে যেতে দেওয়ার দাবিতে আজ শনিবার বিক্ষোভ করেন বেশ কয়েকজন মেয়ে ও নারী।

গত আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এ পরিস্থিতিতে গত বুধবার দেশটির মেয়েদের জন্য মাধ্যমিকের স্কুল খুলে দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আবার তা বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান সরকার। এমন অবস্থায় নারীশিক্ষার বিষয়ে তাদের নীতি নিয়ে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মেয়েদের জন্য মাধ্যমিকের স্কুল খুলে দেওয়ার দাবিতে কাবুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেন বেশ কয়েকজন আফগান নারী ও মেয়ে
ছবি: এএফপি

গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর শিক্ষার অধিকারসহ আরও নানা ক্ষেত্রে নারীদের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে তালেবান।

করোনাভাইরাস মহামারিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও তালেবান ক্ষমতায় আসার দুই মাস পরই ছেলে ও কমবয়সী মেয়েদের জন্য স্কুল খুলে দেওয়া হয়।

আজ কাবুলের সিটি স্কয়ারে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুলের বই ছিল। তারা ‘স্কুল খুলে দাও! ন্যায়বিচার করো’—এমন স্লোগান দেয়।

আরও পড়ুন

তাদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার, রাজনৈতিক পরিকল্পনা নয়’। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ব্যানার হাতে সেখান থেকে অল্প দূরত্বে একটি মিছিল করে। তবে তালেবান যোদ্ধারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ে।

তালেবান মাধ্যমিক পর্যায়ে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে আবার কেন সরে এল, এর কোনো কারণ জানায়নি।

আফগান মেয়েরা সাত মাসের বেশি সময় ধরে স্কুলের বাইরে।

এদিকে তালেবানের এ সিদ্ধান্তের কারণে কাতারে তাদের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনার কথা ছিল।

গতকাল শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, নারীশিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক স্কুলে যেতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে তালেবান সরকার সরে আসায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ। তিনি বলেন, ‘কাতারের রাজধানী দোহায় বৈঠক করাসহ আমাদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগের যে পরিকল্পনাগুলো হয়েছিল, তার কিছু কিছু বাতিল করে দিয়েছি। আমরা পরিষ্কার করে জানিয়েছি, এ সিদ্ধান্তের কারণে আলোচনা ভিন্ন দিকে মোড় নেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’