মালদ্বীপের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টের ২০ বছর জেল

মালদ্বীপের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিব
এএফপির ফাইল ছবি

ঘুষ কেলেঙ্কারি, অর্থ পাচার ও  ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে মালদ্বীপের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আদিবকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির ফৌজদারি আদালত। একই সঙ্গে পর্যটন খাতের উন্নয়নের নামে অর্থ সরিয়ে নেওয়ার দায়ে তাঁকে জরিমানাও করা হয়েছে।

আদালত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এএফপি এসব তথ্য জানায়।
আদালতের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আদিব তদন্তকাজে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করায় এবং তাঁর সাজা যাতে কম হয়, সে ধরনের একটি চুক্তি হয়’, তাই তাঁকে ‘লঘু শাস্তি’ হিসেবে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আদিব প্রথমে পর্যটনমন্ত্রী ছিলেন। পরে তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়। কিন্তু পরে দুই পদই হারান।

আদিব সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। ২০১৫ সালে ইয়টে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে বোমা হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় তাঁর ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইয়ামিন হেরে যান। এরপর গত বছরের জুলাইয়ে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পান আদিব। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। উচ্চ আদালত নতুন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

গত বছরের আগস্টে আদিব অবৈধভাবে দেশ ছেড়েছিলেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতে তিনি গ্রেপ্তার হন। সেখান থেকে তাঁকে দুর্নীতি মামলা মোকাবিলা করার জন্য মালদ্বীপে ফেরত পাঠানো হয়।

ক্ষমতায় থাকার সময় পর্যটন খাতকে আরও তুলে ধরার নামে অর্থ পাচারের দায়ে আদিবকে ২০ লাখ রুফিয়া তথা ১ লাখ ২৯ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করেছেন আদালত। এ ছাড়া রিসোর্ট উন্নয়নের নামে ছোট ছোট দ্বীপগুলো ইজারা দিয়ে রাষ্ট্রের ২৬ কোটি মার্কিন ডলার লোকসান করা ও পর্যটন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয় আদিবকে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার সময় অর্থ পাচারের অভিযোগে বর্তমানে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তিনি তাঁর ক্ষমতাকালে রাজনৈতিক সব প্রতিদ্বন্দ্বীকে হয় জেলে না হয় নির্বাসনে পাঠিয়েছেন।