মিয়ানমারের ২২ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

জান্তা বিরোধী বিক্ষোভ। মান্দালয়, মিয়ানমার, ৩ জুলাই।
ছবি: রয়টার্স

সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে মিয়ানমারের ৪ মন্ত্রীসহ ২২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাঁদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী আন্দোলনে হামলা করারও অভিযোগ উঠেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশটিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে জান্তা। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগ এ ঘোষণা দেয়। তাতে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ঘটনায় ওয়াশিংটন এ ব্যবস্থা নিয়েছে।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সহিংস ও নৃশংস কর্মকাণ্ড চালানোর ঘটনায় তাদের ওপর এ অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।

ব্লিংকেন আরও বলেন, মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু নয়। দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য জান্তা সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতেই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী চিট নাইং, বিনিয়োগমন্ত্রী অং নাইং, শ্রম ও অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মাইন্ট কিয়াং, সমাজকল্যাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী থেট থেট খাইনের ওপর অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। দেশটির প্রভাবশালী স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাউন্সিলের তিন সদস্যও রয়েছেন নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের স্ত্রী-সন্তানসহ আরও ১৫ জনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং মে মাসে কয়েক দফায় মিয়ানমার জান্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তারা।

মার্কিন রাজস্ব ও বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের শাস্তি হিসেবে জান্তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।