যত খুশি খাওয়ার সুবিধা দিয়ে শেষে বন্ধ হয়ে গেল রেস্তোরাঁ!

গ্রাহকদের যত খুশি তত খাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল চীনের এক রেস্তোরাঁ। কিন্তু এই বিশেষ কর্মসূচি চালানোর ১১ দিনের মাথায় রেস্তোরাঁটি বন্ধই করে দিতে হয়েছে। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
গ্রাহকদের যত খুশি তত খাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল চীনের এক রেস্তোরাঁ। কিন্তু এই বিশেষ কর্মসূচি চালানোর ১১ দিনের মাথায় রেস্তোরাঁটি বন্ধই করে দিতে হয়েছে। প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

গ্রাহকদের অসাধারণ সুযোগ দিয়েছিল চীনের এক রেস্তোরাঁ—যত খুশি তত খাওয়ার। উদ্বোধন উপলক্ষেই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ এই বিশেষ কর্মসূচি চালু করেছিল। কিন্তু এ কারণে যে এভাবে পস্তাতে হবে, তা কে জানত! বিশেষ কর্মসূচি চালানোর ১১ দিনের মাথায় রেস্তোরাঁটি বন্ধই করে দিতে হয়েছে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, চীনের চেংদু শহরে এই রেস্তোরাঁ খোলা হয়। ১ জুন থেকে শুরু হয় কার্যক্রম। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, মাত্র ১২০ ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) খরচ করলেই মাসজুড়ে যত খুশি খাওয়া যাবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি দাঁড়ায় প্রায় দেড় হাজার টাকা। আর এতেই হামলে পড়েন গ্রাহকেরা। বুফে খাওয়ার সুবিধা নিতে সকাল থেকেই রেস্তোরাঁর সামনে লাইন ধরতেন তাঁরা।

মাসভিত্তিক এই যত খুশি তত খাওয়ার সুবিধা পেতে গ্রাহকদের ওই রেস্তোরাঁর সদস্য কার্ড সংগ্রহ করতে হতো। মাসে ১২০ ইউয়ান খরচ করলেই পাওয়া যেত এই কার্ড। কিন্তু বিপত্তি বাধে তখন, যখন ওই কার্ড দিয়ে সদস্য ছাড়াও অনেকে খাবার খেতে আসতে থাকেন। যেহেতু সদস্য কার্ডে গ্রাহকের ছবি লাগানোর ব্যবস্থা ছিল না, সেহেতু রেস্তোরাঁর কর্মীদের বোঝার উপায় ছিল না—কে সদস্য, আর কে নন। অর্থাৎ নিজেদের বোকামিতেই গ্যাঁড়াকলে পড়ে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।

চীনের কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকত রেস্তোরাঁটি। কিন্তু সকাল আটটা থেকে রেস্তোরাঁর বাইরে গ্রাহকেরা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। চেংদু বিজনেস ডেইলি নামের একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে জানা গেছে, মধ্যরাতেও থাকত তাঁদের ভিড়। অনেকে আবার নিজে খাওয়ার পর প্যাকেট করা খাবার বাড়িতেও নিয়ে যেতেন।

রেস্তোরাঁর মালিক সা ঝু বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, এই কর্মসূচিতে আমাদের কিছু আর্থিক ক্ষতি হবে। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, তা ভাবিনি। আমরা শুধু বিশ্বস্ত গ্রাহক জোগাড় করতে চেয়েছিলাম।’

১১ দিন চালানোর পর অগত্যা হাল ছাড়ে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। ১২ জুন একটি বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে রেস্তোরাঁ বন্ধ ঘোষণা করা হয়।