যাচ্ছিলেন এভারেস্ট জয়ে, ফিরলেন করোনা নিয়ে

এভারেস্ট অভিযানে একজন পর্বতারোহীর
ফাইল ছবি: রয়টার্স

চলমান মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণের অভিযান। কয়েক সপ্তাহ আগে তা খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই পর্বতারোহণে যাওয়া একজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আজ শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হওয়া ওই পর্বতারোহীর নাম আরলেন্ড নেস। বাড়ি নরওয়েতে। এরই মধ্যে তিনি নেপালের একটি হাসপাতালে আট দিন আইসোলেশনে ছিলেন। ইতিমধ্যে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। পর্বতারোহী নেসের দলের একজন শেরপার শরীরেও করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।

পর্বতারোহণে এসে কীভাবে করোনায় সংক্রমিত হলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কিছু জানাতে পারছেন না নেস। বিবিসিকে তিনি বলেন, নেপালের খুমবু উপত্যকার একটি দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। করোনার কবল থেকে নিজেকে রক্ষায় সতর্ক ছিলেন দাবি করে নেস জানান, বারবার হাত ধুয়েছেন। সারা দিন মাস্ক পরে থাকতেন। এরপরও শেষ রক্ষা হয়নি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এভারেস্ট জয়ের পথে রওনা হওয়ার ছয় দিনের মাথায় অসুস্থ বোধ করেন নেস। ১৫ এপ্রিল তাঁকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়। কাঠমান্ডুর দুটি আলাদা হাসপাতালে তাঁর তিনবার করোনা পরীক্ষা করা হয়। তিনবারই পজিটিভ ফল আসে।

হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও পরীক্ষা করা হলে নেসের করোনা নেগেটিভ ফল আসে। হাসপাতাল ছেড়ে এখন তিনি কাঠমান্ডুতে বন্ধুদের সঙ্গে আছেন।

এভারেস্ট অভিযানে গিয়ে পর্বতারোহী নেসের করোনা সংক্রমণের ঘটনাকে নেপালের জন্য বড় ধাক্কা বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা দেশটির অর্থনীতি অনেকাংশে এ পর্বতের ওপর নির্ভর করে। প্রতি বছর শুধু এভারেস্ট অভিযানের অনুমতি (পারমিট) দিয়ে নেপাল সরকার ৪০ লাখ ডলার রাজস্ব আয় করে।

মহামারির কারণে বছরখানেক বন্ধ থাকার পর চলতি মাসে নেপালে এভারেস্ট জয়ের বসন্তকালীন মৌসুম শুরু হয়েছে। শত শত বিদেশি পর্বতারোহী এ সময় এভারেস্ট অভিযানের প্রত্যাশায় রয়েছেন। নেপালের অভিবাসন দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশি পর্বতারোহীদের ক্ষেত্রে দেশটিতে আসার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সনদ আনতে হয়।