রোহিঙ্গা গণহত্যার দায় এড়ানোর চেষ্টা মিয়ানমারের

জ নাইং তুন ও মায়ো উইন তুন

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় সাবেক দুই সেনাসদস্য স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনী এখন দায় ঢাকার চেষ্টায় নেমেছে। তারা বলেছে, ওই দুই সেনাসদস্যের কাছ থেকে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। খবর এএফপি

মিয়ানমারের সাবেক দুই সেনাসদস্য মায়ো উইন তুন (৩৩) এবং জ নাইং তুন (৩০) এক মাস আগে নিজ দেশ থেকে পালান। এরও আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে এই দুজন মিয়ানমারের রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) কাছে রোহিঙ্গা গণহত্যার স্বীকারোক্তি দেন।

সাবেক দুই সেনাসদস্যের এই স্বীকারোক্তির ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে চাপে ফেলেছে মিয়ানমারকে। বিশেষ করে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির অবস্থানকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। কারণ, জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলায় তিনি সশরীর হাজির হয়ে নিজের দেশের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ কারণে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রথম এই স্বীকারোক্তিকে আমলে নিয়ে মিয়ানমারের বিচার করার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে।

এ পরিস্থিতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বিবিসি বার্মিজকে গত বুধবার বলেন, মায়ো উইন তুন এবং জ নাইং তুন সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য। আরাকান আর্মি তাঁদের বন্দী করে হুমকি–ধমকি ও নির্যাতন করে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে।

তবে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে আরাকান আর্মি। সশস্ত্র সংগঠনটির মুখপাত্র খাইন থু খা গতকাল বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ওই দুই সেনাসদস্য স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যুদ্ধাপরাধ করেছে। তিনি জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনী থেকে পালানো আরও কয়েকজন একই রকম স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এর আগে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় সেসব স্বীকারোক্তি অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে।