শান্তিনিকেতন পৌষমেলা বন্ধ হওয়ার পথে

বিশ্বভারতী ভবন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বিশ্বভারতী ভবন। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা বন্ধ হওয়ার পথে। গত মঙ্গলবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেলা নিয়ে বারবার পরিবেশ আদালতে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মেলা পরিচালনা করতে আগ্রহী নয়। তাদের এখন এ ধরনের পরিকাঠামো নেই।

মেলা নিয়ে মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে এক বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কর্মকর্তা এবং ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্যরা। সেখানেই পৌষমেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় উঠে আসে মেলা নিয়ে বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের বারবার মামলার বিষয়টি।

পরিবেশ আদালতে করা ওই মামলায় পক্ষ করা হয়েছে বিশ্বভারতীকে। ফলে, পৌষমেলা করতে গিয়ে নানা প্রশ্ন ও সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বিশ্বভারতীকে।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এখন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন।

ওই বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে, ৭ থেকে ৯ পৌষ পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালন করবে বিশ্বভারতী। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীক্ষা দিবসকে স্মরণ করে প্রতিবছর বসে এই পৌষমেলা। ১৩০১ বঙ্গাব্দের ১ পৌষ সূচনা হয়েছিল এই মেলার। প্রথমে কাচ মন্দিরের সামনে এক দিনের জন্য বসত এই মেলা। এখন বসছে পূর্বপল্লির মাঠে। এই মেলায় লোকগীতি, পল্লিগীতি, বাউল, লোকনৃত্যর মতো নানা আয়োজন হয়।

পৌষমেলা এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক মহামিলনমেলা হিসেবে পরিণত হয়েছে। মেলা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা পেয়ে বসেছে বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সেখানকার মানুষের মনে।