শান্তির ‘নোবেল’ পেল ভারত-পাকিস্তান

প্রতীকী ছবি

প্রায়ই মাঝরাতে বাসার কলবেল বেজে উঠছে। কিন্তু দরজা খুলে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ লাইন কেটে দিচ্ছে কে বা কারা। এই হয়রানি যেনতেন কাউকে করা হয়নি। ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিক এবং নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানের কূটনীতিকদের কেউ কেউ এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে দুই বছর আগে অভিযোগ করে উভয় দেশ। এ নিয়ে সে সময় কূটনৈতিক টানাপোড়েনেরও সৃষ্টি হয়। এই হয়রানির ঘটনার জন্য এ বছর শান্তিতে ইগ নোবেল দেওয়া হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানকে।

গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় ইগ নোবেল পুরস্কারের ৩০তম আসর। এবার করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে অনলাইনেই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ইগ নোবেল দেওয়া হয় হাস্যকর আর আজব ‌‘আবিষ্কারের’ জন্য। ১৯৯১ সালে ইগ নোবেলের প্রচলন শুরু হয় ‘প্রথমে হাসাবে, তারপর ভাবাবে’ স্লোগান সামনে রেখে।

এবার অর্থনীতিতে ইগ নোবেল জিতেছেন স্কটল্যান্ড, কলম্বিয়া, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, ব্রাজিল, চিলি ও অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক। তাঁরা দেশে দেশে জাতীয় আয়ের অসমতার সঙ্গে চুমুর কোনো সম্পর্ক আছে কি না, সেটাই বের করার চেষ্টা করেছিলেন।

চীনা একটি কুমিরকে অক্সিজেনের সঙ্গে হিলিয়াম মিশিয়ে শ্বাস নেওয়ার পরীক্ষা করায় সংগীতে ইগ নোবেল দেওয়া হয়েছে এবার। গবেষকেরা দেখেছেন, নিশ্বাসের সঙ্গে হিলিয়াম গ্রহণ করলে বিশালাকার এই প্রাণীদের গলার আওয়াজ বেড়ে যায়। নিজের ভ্রুর প্রতি আসক্তির বিষয়টি আবিষ্কার করে মনোবিজ্ঞানে ইগ নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন দুই গবেষক। কেঁচোকে জোরেশোরে ঝাঁকি দিলে কী পরিবর্তন ঘটে, তা জানার চেষ্টা করার জন্য পদার্থবিদ্যায় ইগ নোবেল পেয়েছেন একদল বিজ্ঞানী।

একজনকে খুন করতে ক্রমান্বয়ে কয়েকজনের সঙ্গে দফারফা করেও তা না করতে পারায় চীনের পাঁচ পেশাদার খুনিকে দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থাপনায় এবারের ইগ নোবেল।

সাধারণ মানুষের জীবন–মরণে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের তুলনায় রাজনীতিকদের তাৎক্ষণিক ভূমিকা বেশি—করোনা মহামারির এই সময় বিশ্বকে এই শিক্ষা দেওয়ায় এবার চিকিৎসাশিক্ষায় যৌথভাবে ইগ নোবেল পেয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস লোপেজ অব্রাদর, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি বারদিমুহামেদো।