শ্রীলঙ্কা উপকূলে জ্বালানি তেলসহ ডুবছে জাহাজ, পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা

শ্রীলঙ্কার সমুদ্রসীমায় ডুবতে বসা পণ্যবাহী জাহাজ। কলম্বো, উপকূল ২ মে।
ছবি: রয়টার্স

শ্রীলঙ্কার পশ্চিম উপকূলে জ্বালানি তেলসহ রাসায়নিক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজ ডুবতে বসেছে। দেশটির সরকার ও নৌবাহিনী এ ঘটনাকে শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সামুদ্রিক বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেছে।
বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১৫ মে ভারতের গুজরাটের একটি বন্দর থেকে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ছেড়ে আসে সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত এমভি এক্স-প্রেস পার্ল নামের একটি পণ্যবাহী জাহাজ। ওই সময় জাহাজটিতে ১ হাজার ৪৮৬টি কনটেইনার ছিল। এসব কনটেইনারে ২৫ টন নাইট্রিক অ্যাসিড ছাড়াও নানা ধরনের রাসায়নিক সামগ্রী ও কসমেটিকস রয়েছে।

খবরে বলা হয়, কলম্বো উপকূলে পৌঁছানোর পর জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। ১৩ দিন ধরে আগুন জ্বলার পর গত মঙ্গলবার তা নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

এর আগেই উদ্ধার করা হয়েছে জাহাজে থাকা ভারত, চীন, রাশিয়া ও ফিলিপাইনের ২৫ নাবিককে। তবে হঠাৎই ডুবতে শুরু করেছে পণ্যবাহী জাহাজটি।

নেদারল্যান্ডসের উদ্ধারকারী সংস্থা এসএমআইটি জাহাজটির পুড়ে যাওয়া সামগ্রী সরানোর চেষ্টা করছে। তবে ৩১ হাজার ৬০০ টন ওজনের নৌযানটি ডুবতে শুরু করায় সে প্রচেষ্টা স্থগিত করা হয়েছে। জাহাজটিতে এখনো প্রায় ৩০০ টন জ্বালানি তেল অবশিষ্ট রয়েছে।

জ্বালানি তেল ও রাসায়নিক পণ্য নিয়ে জাহাজটি ডুবতে শুরু করায় সামুদ্রিক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পড়েছে শ্রীলঙ্কা। কলম্বো বন্দরের আশপাশে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন ইন্দিকা ডি সিলভা বলেন, ‘জাহাজটি রক্ষার চেয়ে উপকূলে জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এখন বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সমুদ্রে তেল ছড়িয়ে পড়লে তা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। তবে আমরা আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি।’