শ্রীলঙ্কায় বোরকা নিষিদ্ধের প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার সম্মতি

বোরকা নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ১৪ মার্চ, কলম্বো
ছবি: রয়টার্স

বোরকা নিষিদ্ধ করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। দেশটির মন্ত্রিসভা এ–সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। দেশটির জননিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী শরৎ বীরসেকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল। এ বৈঠকে বোরকা নিষিদ্ধের প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। জননিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী শরৎ বীরসেকেরা এ তথ্য জানিয়ে তাঁর ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন। প্রস্তাবটি এখন অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে পাঠানো হবে। এরপর পার্লামেন্টে পাস হলে এটি আইনে পরিণত হবে। শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে সরকারি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তাই সহজেই এটি আইন হিসেবে পাস হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত ১৩ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার জননিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী বোরকা নিষিদ্ধের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি জানান, ধর্মীয় উগ্রবাদ রোধ ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আইনটি পাস হলে মুসলিম নারীরা জনসমাগমস্থলে পুরো মুখ ঢেকে যেতে পারবেন না।

শ্রীলঙ্কা সরকারের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত আহমেদ শাহেদ। টুইট বার্তায় তিনি বলেন, এটা আন্তর্জাতিক আইন ও ধর্মীয় মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী। এর আগে কলম্বোয় পাকিস্তানের হাইকমিশনার সাদ খাট্টাক বলেছিলেন, এমন আইন দেশটিতে মুসলিমদের মূল্যবোধে আঘাত করবে।

এর আগেও বোরকা নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা সরকার। ২০১৯ সালে দেশটির কয়েকটি গির্জায় সিরিজ বোমা হামলায় ২৫০ জনের বেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় মুসলিম নারীদের জন্য মুখঢাকা বোরকা পরিধান সাময়িক নিষিদ্ধ করেছিল দেশটি।
শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৯ শতাংশ মুসলিম, ৭০ শতাংশের বেশি বৌদ্ধ ও ১৫ শতাংশ তামিল। তামিলদের অধিকাংশই সনাতনধর্মাবলম্বী।

আরও পড়ুন