সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই জোরদারের আহ্বান

.
.

ম্যানিলায় এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা (অ্যাপেক) শীর্ষ সম্মেলনে এই ফোরামের নেতারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা আরও জোরালো করার আহ্বান জানিয়েছেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিন গতকাল বৃহস্পতিবার উপস্থিত বিশ্ব নেতাদের আলোচনায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের আতঙ্ক আর উদ্বেগের বিষয়টি ছায়া ফেলে।
সম্প্রতি প্যারিসে সংঘটিত নজিরবিহীন সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে সম্মেলনের আলোচনায় প্রাধান্য পায় সন্ত্রাসবাদ। এ ছাড়া আলোচিত হয় দক্ষিণ চীন সাগরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের বিষয়টি।
সম্মেলন শেষে দেওয়া এক ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ অন্য নেতারা বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের যত ধরন আছে সেসবের সঙ্গে জড়িত সব রকম কর্মকাণ্ড, পদ্ধতি, আচার ও তার প্রয়োগের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। সন্ত্রাসকে আমরা আমাদের মুক্ত ও অবাধ অর্থনীতির ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত মৌলিক নীতিমালাকে হুমকিতে ফেলতে দেব না।’
ঘোষণায় নেতারা আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সংহতি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমরা গুরুত্বারোপ করছি।’
ফিলিপাইনের রাজধানীতে সম্মেলনস্থলের বাইরে গতকাল সকালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। অ্যাপেক জোটবিরোধী শত শত বিক্ষোভকারী সম্মেলনের মূল স্থান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বসানো প্রতিবন্ধকতা ভেঙে সেদিকে এগোনোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে দাঙ্গা পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষকালে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ছোড়া হয়। এই শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ফিলিপাইন গ্রহণ করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয় ২০ হাজারের বেশি পুলিশ ও সেনাসদস্য।
বাণিজ্যিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে ফিলিপাইনে গত বুধবার শুরু হয় ২১ সদস্যদেশের এ বছরের সম্মেলন। তবে অন্যান্য ঘটনায় সম্মেলনের আলোচনা বাধার মুখে পড়ে। দক্ষিণ-চীন সাগরকে ঘিরে চীনের সঙ্গে বিরোধের প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আঞ্চলিক অন্যান্য দেশকে সঙ্গে নিয়ে এ সপ্তাহে তাঁর পক্ষ ভারী করার চেষ্টা চালান।