সম্ভবত খোঁজ মিলেছে ইন্দোনেশিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরিটির

ইন্দোনেশিয়ায় সুমাত্রা দ্বীপে তোবা লেকে ডুবে যাওয়া ফেরিটি সম্ভবত শনাক্ত করতে পেরেছে বলে মনে করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ১৮ জুন ফেরিটি বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। ঈদের ছুটিতে লোকজন ফেরিটিতে করে লেকে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।

জাতীয় তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ সায়ুগি বলেন, ১৪৭৫ ফুট নিচে ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ মিটার প্রস্থের একটি বস্তু শনাক্ত করা গেছে। এর আকার দেখা মনে ধারণা করা হচ্ছে এটি ডুবে যাওয়া ফেরিটি হতে পারে। তবে এটিই সেই ফেরি কি না তা নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা দরকার।

এই লেকটি আগ্নেয়গিরি থেকে উৎপন্ন বিশ্বের গভীরতম লেকগুলোর একটি। এর গভীরতা ১৫০০ ফুট। এই গভীরতার কারণে উদ্ধারকাজে ডুবুরির পাশাপাশি পানির নিচে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে ফেরিতে ঠিক কতজন ছিল তা নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে নিখোঁজের সংখ্যা ১৯৩। আশঙ্কা করা হচ্ছে হয়তো আর বেঁচে নেই তাঁরা।

এখন পর্যন্ত তিনজনের মরদেহ ও ১৮জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।

ন্যাশনাল পুলিশ প্রধান টিটো কারনাভিয়ান বলেন, তদন্তকারীরা এ ঘটনার পেছনে নানা ধরনের গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যে ফেরির নাবিক ও সিমানিনদো পোর্টের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়েছে। শেষের তিন কর্মকর্তার দায়িত্ব ছিল ফেরির ফিটনেস যাচাই করা ও সবকিছু ঠিক আছে কি না তা দেখা।

দুর্ঘটনার কয়েক দিন পর দেশটির পরিবহন মন্ত্রী বুদি কারয়াআ রাজধানী জাকার্তায় এক সংবাদ বলেছিলেন, ফেরিটির ধারণ ক্ষমতা ছিল ৪৩ জনের। আর লাইফ জ্যাকেট থাকার কথা ৪৫টি। নিখোঁজদের তালিকা দেখে মনে হচ্ছে এতে নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে পাঁচ গুন বেশি যাত্রী ছিল। এমনকি এটিতে অনেকগুলো মোটরসাইকেলও ছিল। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক ভুল ছিল। এই নৌযানটির চলাচলের অনুমতি ছিল না।’

বেঁচে ফেরা এক যাত্রীর ভাষ্য ছিল প্রচণ্ড বাতাস ও উঁচু ঢেউয়ের কবলে ফেরিটি পড়ার পর লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ফেরিটি কাত হয়ে ডুবতে থাকে।