কাতার বিশ্বব্যাপী সহিংসতার কবল থেকে বেসামরিক জনগণকে সুরক্ষা ও সহিংসতা প্রতিরোধ করার জন্য বাস্তবায়নযোগ্য একটি কৌশল প্রণয়নে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত শেয়খা আলিয়া আহমেদ বিন সাইফ আল থানি গত ২৫ জুন সুরক্ষার দায়িত্ব (রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট) সম্পর্কিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম আনুষ্ঠানিক অধিবেশনে বক্তৃতাকালে এই আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সাধারণ পরিষদের কার্য তালিকায় ‘সুরক্ষার জন্য দায়িত্ব’ অন্তর্ভুক্ত করায় গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও জাতিগত নিধন রোধে জাতিসংঘ সদস্যদের ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি এ ধরনের ভয়াবহ অপরাধ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যাতে কাজ করতে পারে সে ধরনের ঐকমত্যে পৌঁছার জন্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সংলাপ আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কাতারের বার্তা সংস্থা কিউএনএ জানায়, ‘রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট’ সংক্রান্ত দলিল গ্রহণের ২০০৫ সালের বিশ্ব সম্মেলনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘে নিযুক্ত কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, যুদ্ধাপরাধ ও জাতিগত নিধনের ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে সুরক্ষার জন্য এটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি বড় প্রতিশ্রুতি। আর এই সুরক্ষা বিভিন্ন দেশের সার্বভৌমত্বকে আরও জোরদার করবে।
রাষ্ট্রদূত শেয়খা আলিয়া বলেন, ২০০৫ সাল থেকে জাতিসংঘ, সদস্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংস্থা জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুরক্ষার দায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতি কার্যকর করতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নেতারা সফলভাবে ঝুঁকি চিহ্নিত করার কাঠামো উদ্ভাবন, আগাম সতর্ক পদ্ধতির উন্নয়ন, মারাত্মক অপরাধের ঝুঁকি চিহ্নিত করণ এবং নতুন নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কৌশল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি জনগণের সুরক্ষার জন্য প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে সদস্য দেশগুলোর প্রচেষ্টার সমর্থনে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া তিনি আগেভাগে গণহারে নিষ্ঠুরতা হতে পারে এমন সম্ভাবনাময় বিভিন্ন পরিস্থিতি বিবেচনায় আনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।