সামাজিক দূরত্বের ‘দুরবস্থা’

সিঁড়ির নিচে দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দাঁড়ানো আদৌ সম্ভব নয়।
ছবি টুইটার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে যে কটি বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তার অন্যতম চলাফেরায় ও জনসমাগমস্থলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। এই দূরত্ব নিশ্চিত করতে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেক দেশেই গণপরিবহনে একটি আসন ফাঁকা রেখে আরেক আসনে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবার জনসমাগমস্থলগুলোতে জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে দাঁড়ানোর জন্য। কিন্তু ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর একটি রেলস্টেশনে এমন পদক্ষেপ বেশ হাসির খোরাক হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ভারতের এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে দাগ দিয়ে গোল চিহ্ন করে দাঁড়ানোর স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু এমন এমন জায়গায় গোল চিহ্ন দেওয়া হয়েছে, যেগুলোতে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। যেমন সিঁড়ির নিচে দাঁড়ানোর জায়গা করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে মূলত দাঁড়ানো সম্ভব নয়। আবার দোকান কিংবা খুঁটির পাশে এমন জায়গায় দাঁড়ানোর জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানেও দাঁড়ানো সম্ভব নয়। অর্থাৎ এসব জায়গায় কারও পক্ষে দাঁড়ানো সম্ভব কি না, তা বিচার–বিবেচনা না করেই কর্তৃপক্ষ এই কাজটি করেছে।

বিষয়টি সামনে এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের কল্যাণে। এক ব্যক্তি সেই চিহ্নিত স্থানগুলোতে বহু কষ্টে দাঁড়িয়ে–বসে ছবি তোলার চেষ্টা করেছেন। সেই ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন অনামিকা নামের এক নারী। মুহূর্তে সেগুলো ভাইরাল হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, সিঁড়ির দুই ধাপ মিলে একটি দাঁড়ানোর জায়গা। ওই ব্যক্তি এক ধাপে এক পা এবং অপর ধাপে আরেক পা দিয়ে কোমর বাঁকা করে দাঁড়িয়ে আছেন। আরেক ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ওই ব্যক্তি স্টেশনের খুঁটি ঘেঁষে এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, যেন আশপাশে দাঁড়ানোর কোনো জায়গা নেই। এমন আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, দূরত্ব মেনে দাঁড়ানোর যে জায়গা দেওয়া হয়েছে, তা মূলত বসার জায়গা। ফলে ওই ব্যক্তি সেই গোল দাগের মধ্যে পা রেখে বসে আছেন।

এক টুইটার ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, এটাও তো হতে পারে, দাগগুলো আগে দেওয়া হয়েছে। দোকান বা সিঁড়ি পরে সেখানে এসেছে!