সার্ক নিয়ে কিছু কথা

১৯৮৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন
১৯৮৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেল, একজন ভারতীয় সাবেক কূটনীতিক ভারত সফররত একদল বাংলাদেশি সাংবাদিককে উপদেশ দিয়েছেন, বাংলাদেশে আমরা যেন সার্ক ভুলে বঙ্গোপসাগরভিত্তিক দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট ‘বিমসটেকের’ ওপর জোর দিই। তাঁর উপদেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাঁর সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে বলব, শুধু আমি কেন, বাংলাদেশের সচেতন জনগোষ্ঠী তাঁর উপদেশ গ্রহণ করতে আগ্রহী হবে বলে মনে হয় না।
আমার জানামতে, বাংলাদেশ আর ভারত ১৯৯৭ সালে বিমসটেকে যোগ দিয়েছিল। তখন উভয় দেশই ছিল সার্কের সদস্য। আমরা তখন অবশ্যই অনুধাবন করেছিলাম যে সার্ক ও বিমসটেক দুটি পরস্পরবিরোধী সংগঠন নয়, এ দুইয়ের লাভজনক সহাবস্থান অবশ্যই সম্ভব। সেই ভারতীয় সাবেক কূটনীতিক আরও মত দিয়েছেন, ‘সামনের কয়েক বছর পাকিস্তানকে সার্কের বাইরে রাখতে হবে। তাহলে একদিন দেশটি এই জোটের উপকারিতা বুঝবে।’ আমি বলব, পাকিস্তানকে সার্কের ভেতর রাখতেই হবে, যাতে সার্কের উপকারিতা তারা বেশি করে অনুধাবন করে। আমার কাছে পাকিস্তানের অর্থ হলো, সেই দেশের আপামর জনসাধারণ। আমার দৃষ্টিতে সার্ক কেবল কতগুলো সরকারের জোট, দক্ষিণ এশিয়ার দেড় শ কোটিরও বেশি মানুষের একটি অভূতপূর্ব মিলনমেলা।
সংক্ষেপে হলেও সার্কের আদি কিস্সায় ফিরে যেতেই হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি কারাগার থেকে ঢাকায় ফিরলেন। সেই অপরাহ্ণেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভায় তিনি পাকিস্তানের জনগণের উদ্দেশে বললেন, ‘তোমাদের প্রতি আমার কোনো বৈরী মনোভাব নেই। আমি চাই তোমরা সুখে থাকো। তোমাদের সেনাবাহিনী আমাদের লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, আমাদের মা-বোনদের সম্মানহানি করেছে, গ্রামের পর গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তবু আমি তাদেরকে ঘৃণা করি না। তোমরা তোমাদের স্বাধীনতা নিয়ে থাকো আর আমরাও যেন স্বাধীন থাকি।’ বঙ্গবন্ধুর এ কথাগুলোর তাৎপর্য আরও পরিস্ফুট হলো এর প্রায় চার সপ্তাহ পর। ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার রাজভবনে তাঁর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আয়োজিত একটি ভোজসভায় বঙ্গবন্ধু আঞ্চলিক সহযোগিতার ডাক দিয়ে বললেন, ‘আমার একান্ত আশা এই যে অবশেষে উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে...। আমরা যেন আমাদের মূল্যবান জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট না করে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ব্যবহার করি। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়াকে একটি শান্তির এলাকায় পরিণত করতে চাই, যাতে আমরা আমাদের জনসাধারণের মঙ্গলের জন্য গঠনমূলক নীতি বাস্তবায়ন করতে পারি...।’
তার পরের মাসেই ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে স্বাগত জানিয়ে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যাদির সমাধান এই অঞ্চলের জনসাধারণ এবং সরকারই করবে। যদি প্রতিহিংসা জাগিয়ে রাখা হয়, তাহলে টানাপোড়েন হ্রাস পাবে না।’
বঙ্গবন্ধু বারবার দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
১৯৮০ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে আঞ্চলিক সহযোগিতার ডাক পাঠান, তা ছিল দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতার বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তারই প্রতিফলন, তাঁর ভাবনার রূপায়ণ। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় শীর্ষ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমন্ত্রণপত্র, স্বাগতিক বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে যখন আমি, ১৯৮৫ সালের সেপ্টেম্বরে পরপর ছয়জন সার্ক সরকারপ্রধানের হাতে তুলে দিই, তাঁরা সবাই গভীর আগ্রহে সার্কের ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। ভারতীয় সাবেক কূটনীতিকের সার্ক ভুলে যাওয়ার উপদেশ মনে রেখেই বলতে চাই, ১৯৮৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দিল্লির সাউথ ব্লকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী আমন্ত্রণলিপিটি গ্রহণ করে আমাকে বলেছিলেন, তাঁর বিশ্বাস সার্ক একদিন আমাদের এই অঞ্চলে আকাঙ্ক্ষিত উন্নতি আর পরিবর্তনের সহায়ক হবে। সেই বছরের ৮ ডিসেম্বর ঢাকায় সার্কের প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, সার্ক হচ্ছে একটি ‘বিশ্বাসতাড়িত পদক্ষেপ’ (Act of Faith)। ২০১০ সালের ১০ এপ্রিল সার্কের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভুটানের থিম্পুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ‘Act of Faith’ বক্তৃতার জের টেনে বলেছিলেন, তাঁদের অভিজ্ঞতায় ‘সার্ক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের পরিচায়কও বটে’।
পাকিস্তানের একাধিক সরকারের আচরণে আমরা রুষ্ট। সংগত কারণে রুষ্ট ভারতও। তবু বলব, আমরা পাকিস্তানকে সার্কের বন্ধনে ধরে রাখি। তাদের পথভ্রান্ত সরকার সার্কের মধ্যে থেকেই শান্তি আর সমঝোতার মূল্য বুঝুক। সার্ক থেকে পাকিস্তানকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হবে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের প্রতি অন্যায় আচরণ। সার্কের অবস্থান ক্ষুদ্র মানসিকতার ঊর্ধ্বে।

সার্কের যাত্রাপথ কণ্টকাকীর্ণ রয়েছে, সার্ক পদে পদে হোঁচট খেয়েছে, কিন্তু নিশ্চল হয়ে পড়ে থাকেনি। ১৯৮৫ সালে স্বাগতিক দেশ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব এবং প্রথম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের মহাসচিব হিসেবে আমার একটি ঘটনা মনে পড়ে। ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫। বিকেল চারটায় সার্ক ঘোষণা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবেন ঢাকায় সমবেত সার্কের সরকারপ্রধানেরা। তার কিছু আগেই কর্মসূচি মোতাবেক সার্ক সরকারপ্রধানেরা এ উপলক্ষে ছাপানো সার্কের সব দেশের ডাকটিকিট অবমুক্ত করবেন। সেই সময়েই নজরে এল যে পাকিস্তান একটি ডাকটিকিটে কাশ্মীরকে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সংগত কারণেই প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বললেন, ‘আমি এটা গ্রহণ করতে পারি না।’ এত আয়োজন, এত বছর ধরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সার্ক বাস্তবায়নের দিকে এগোনোর পর সবকিছুই ভেস্তে যাবে একটি ডাকটিকিটের জন্য! পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব, আমার এককালের জ্যেষ্ঠ সহকর্মী, নিয়াজ নায়েককে নিয়ে সংসদ ভবনেই পৌঁছলাম পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক সমীপে। তিনি মুহূর্তেই বুঝে গেলেন যে তাঁরা ধরা পড়ে গেছেন। বললেন, এটা নিশ্চয়ই কোনো অদূরদর্শী, অবিবেচক কিছু অতি উৎসাহী আমলার কীর্তি! তিনি আমাকে বললেন, ‘ডাকটিকিটটা আপনারা প্রত্যাহার করুন।’ এদিকে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চলছে বিকেল চারটার দিকে, যখন সার্ক ইশতেহার সরকারিভাবে গৃহীত হবে। সিদ্ধান্ত হলো যে যেহেতু ডাকটিকিট অবমুক্তকরণ শীর্ষ সম্মেলনের একটি প্রয়োজনীয় অংশ নয়, অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হোক। এভাবে জন্মের মুহূর্তেই সার্ক একটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল।

এ বছর সার্ক সম্মেলনে ইসলামাবাদে যেতে কোনো দেশই রাজি হলো না। সবার মতেই, সম্মেলনের পরিবেশ বিরাজ করছে না। কিন্তু সার্কের জন্য শীর্ষ সম্মেলন বাতিল হওয়া নতুন কিছু নয়। সার্কের ৩১ বছরের জীবনে ৩১টি শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা। কিন্তু হয়েছে মাত্র ১৮টি। তাই বলে সার্ক ভেঙে যায়নি। এখন তা কেন হবে?
এই মুহূর্তে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। কিন্তু কয়েক মাস আগেই তো বিদেশ থেকে দিল্লি ফেরার পথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাহোরে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি করলেন, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের গ্রামের বাড়িতে করলেন ‘হৃদ্যতাপূর্ণ’ বৈঠক! আমরা গত তিন দশকে দেখেছি যে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্থান-পতন ঘটেই থাকে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমনটা বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান সংঘাত আমাদের সবার জন্যই দুর্যোগ বয়ে আনবে। তিনি সংঘাত থেকে বিরত থাকার জন্য ভারত আর পাকিস্তানকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
ভারত ও পাকিস্তান দুটিই এখন পরম সামরিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র। ভারতের বর্তমান সেনাসংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ। পাকিস্তানের সোয়া ছয় লাখ। ভারতের রয়েছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ট্যাংক আর দুই হাজারের বেশি যুদ্ধবিমান। পাকিস্তানের আছে প্রায় তিন হাজার ট্যাংক আর নয় শতাধিক যুদ্ধবিমান। সমুদ্রে ভারতের রয়েছে ২৯৫টি যুদ্ধজাহাজ, দুটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ এবং ১৪টি সাবমেরিন। পাকিস্তানের বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ নেই, রয়েছে প্রায় ২০০ যুদ্ধজাহাজ এবং ৫টি সাবমেরিন। অতএব, এখন প্রথাগত সমরাস্ত্র নিয়ে এ দুই দেশের মধ্যে সংঘাত হলে তা হবে তাদের মধ্যে পূর্বেকার সব সংঘাতের তুলনায় ব্যাপকতর এবং অধিকতর ক্ষতিকারক। কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা হলো, দুই দেশই এখন পারমাণবিক শক্তিধর। প্রথাগত অস্ত্রসজ্জায় যদিও ভারত এগিয়ে রয়েছে, পারমাণবিক শক্তিতে দুই দেশই শতাধিক পারমাণবিক ‘ওয়ারহেড’ নিয়ে সমানে সমান।

>পাকিস্তানের একাধিক সরকারের আচরণে আমরা রুষ্ট। সংগত কারণে রুষ্ট ভারতও। তবু বলব, আমরা পাকিস্তানকে সার্কের বন্ধনে ধরে রাখি। তাদের পথভ্রান্ত সরকার সার্কের মধ্যে থেকেই শান্তি আর সমঝোতার মূল্য বুঝুক

মনে পড়ে, ১৯৯৯ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম আলোর সাংবাদিক হিসেবে পারমাণবিক পাকিস্তানের রূপকার আবদুল কাদির খানের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। আমার অবাক লেগেছিল যে স্মিত হাসির এই মানুষটি বেলুচিস্তানের চাখাই পাহাড়ে এমন একটি পারমাণবিক বিস্ফোরণমালা ঘটিয়েছেন, যার প্রতিটি বোমা হিরোশিমার বোমা থেকে আশি গুণ বেশি শক্তিশালী, যা পারমাণবিক যুদ্ধ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রীয় দিল্লির সাত বর্গকিলোমিটারের পরিধিতে বসবাসকারী নয় লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে পারে। আর যদি কোনো কারণে তাতে বিলম্ব ঘটে, যদি ভারতের ‘অগ্নি’ মিসাইল একটি বোমা মুখে উড়ে আসে রাওয়ালপিন্ডির আকাশে, তাহলে ইসলামাবাদ-রাওয়ালপিন্ডি আর মারগালা পাহাড়ের শ্যামলিমা আর তার চারপাশে বসবাসকারী মানুষ, পশুপাখিসহ কোনো প্রাণীর অস্তিত্বই থাকবে না। ভারতের পারমাণবিক বোমা নিমেষেই বিলুপ্ত করে দিতে পারে গান্ধারা সভ্যতার নিদর্শন, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, বিম্বিসার, অশোক আর কনিষ্কের পীঠস্থান তক্ষশীলা। ঠিক তেমনি পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা বহনকারী মিসাইল এক নিমেষেই ধূলিসাৎ করে দিতে পারে ইব্রাহিম লোদি, নিজামুদ্দিন আউলিয়া, হুমায়ুন, শাহজাহান আর খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির দিল্লি, আগ্রা আর আজমির।
কিন্তু আবদুল কাদির খান মৃদু হেসে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তা হবে না। তাঁর মতে, উপমহাদেশে পারমাণবিক ভারসাম্য শান্তিই নিশ্চিত করবে। এই ভারসাম্যই হচ্ছে রক্ষাকবচ। পাশ্চাত্যে যেমন রয়েছে অর্ধশতাব্দী ধরে। তবে ভীতি তো রয়েই যায় যে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে প্রথাগত যুদ্ধে একটি শক্তি যদি পরাজয়মুখী হয়, তাহলে সেই শক্তি তার পারমাণবিক বোতামটি টিপবে। তাহলে প্রথাগত যুদ্ধটি পরিণত হবে এক নারকীয় পারমাণবিক সংঘাতে। তার বিষাক্ত বাতাস লাগবে আমাদের গায়ে, বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে আমাদের জীবনযাত্রা। না, আমরা তা কিছুতেই হতে দিতে পারি না। সে জন্যই রয়েছে সার্ককে বাঁচিয়ে রাখার এবং সার্কের ভেতরে পাকিস্তানকে ধরে রাখার যৌক্তিকতা।
এই সত্যটি সবার চেয়ে নিশ্চয়ই বেশি অনুধাবন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তাই আমরা দেখছি যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেও দুই দেশের সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন’প্রধানেরা নিজেদের মধ্যে সংযোগ অব্যাহত রাখছেন। আমার তাই বিশ্বাস যে পাকিস্তানকে একঘরে করা হবে একটি অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ।
ফারুক চৌধুরী: সাবেক পররাষ্ট্রসচিব। কলাম লেখক।
[email protected]