স্টারলিংক নিয়ে টোঙ্গার পাশে ইলন মাস্ক

স্পেসএক্সের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত
ছবি: এএফপি

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর সুনামির কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গায় প্রায় এক মাস ধরে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন। দুর্যোগকবলিত দেশটিকে সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। তাঁর প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক টোঙ্গায় ইন্টারনেট সংযোগ সচল করতে প্রতিবেশী ফিজিতে কাজ করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ফিজির অ্যাটর্নি জেনারেল আইয়াজ সায়েদ-খাইয়ুমের এক টুইট বার্তার বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

গত ১৫ জানুয়ারি পানির নিচে অগ্ন্যুৎপাত থেকে সৃষ্ট সুনামিতে টোঙ্গা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ইন্টারনেট সেবাদানকারী দেশটির একমাত্র অপটিক-ফাইবার কেব্‌ল অচল হয়ে যায়। সুনামির পর কয়েক দিন দেশটি একেবারেই যোগাযোগবিচ্ছিন্ন ছিল। প্রায় এক মাস পার হলেও যোগাযোগের উপায় এখনো খুব সীমিত।

আইয়াজ সায়েদ-খাইয়ুম বলেছেন, টোঙ্গাকে বিশ্বের সঙ্গে পুনরায় যুক্ত করতে স্পেসএক্সের একটি দল ফিজিতে একটি স্টারলিংক গেটওয়ে স্টেশন স্থাপন করছে।

টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের মহাকাশ কোম্পানি স্পেসএক্সের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্টারলিংক স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। টোঙ্গা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হওয়ার পর জানুয়ারিতে এক টুইট বার্তায় স্টারলিংকের মাধ্যমে দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা সচল করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ইলন মাস্ক।

সায়েদ-খাইয়ুমকে উদ্ধৃত করে ফিজির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বলছে, স্টারলিংকের প্রকৌশলীরা ফিজিতে ছয় মাসের জন্য একটি গ্রাউন্ড স্টেশন পরিচালনা করবেন। এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধ করে স্পেসএক্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া পায়নি রয়টার্স। এ ছাড়া টোঙ্গার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা টোঙ্গা কমিউনিকেশন করপোরেশনের সঙ্গে ফোন বা ই–মেইলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।