পূর্বশর্ত না দিলে আলোচনা হতে পারে: মস্কো

রাশিয়ার একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভার্সিনিন আলোচনার জন্য শর্তের কথা বলেন।

সের্গেই ভার্সিনিন

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে তার জন্য ইউক্রেন কোনো পূর্বশর্ত দিতে পারবেন না। এ ছাড়া ইউক্রেনকে বর্তমান বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। অর্থাৎ, ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তা দাবি করতে পারবে না কিয়েভ। এসব শর্ত মানলে আলোচনায় বসবে মস্কো। রুশ টেলিভিশন জেভেজদাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভার্সিনিন এ কথা বলেছেন।

টেলিভিশন চ্যানেলটির ওয়েবসাইটে সের্গেই ভার্সিনিনের সাক্ষাৎকারের খণ্ডিত অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো শত্রুতা আলোচনায় শেষ হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা আগেও বলেছি, আমরা এ ধরনের আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে তা হতে হবে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই।’

ভার্সিনিন বলেন, তবে এত দিন কিয়েভ নয়, মস্কোর সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস। প্রথমত মনে রাখতে হবে, এর আগের মিনস্ক এবং ইস্তাম্বুলের আলোচনার কথা। ওই আলোচনা ইউক্রেনের কারণে ভেস্তে গেছে। কিন্তু আপনারা ভালো করেই জানেন, সিদ্ধান্ত কিয়েভ নেয় না। এসব সিদ্ধান্ত আসে ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস থেকে। তাই আলোচনার বিষয়ে তাঁদেরই প্রশ্ন করতে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে আলোচনা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ভার্সিনিন বলেন, ‘এটা আমাদের ওপর নির্ভর করে না। আমরা অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছি। বাইডেন যদি সতর্ক ও জ্ঞানী হতেন, তবে এত দিন তা সম্ভব হতো।’

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা গ্রুপ ওয়াগনারের নেতা দাবি করেছেন, বাখমুত শহরের কাছের একটি গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তাঁর বাহিনী। এর আগে গত মাসে সোলেদার শহর দখলের দাবি করে ওয়াগনার গ্রুপ। যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বাখমুতের আরও কাছাকাছি চলে এসেছে রুশ বাহিনী।

ভারতের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাবে ওয়াশিংটন

ইউক্রেনের সংঘাত বন্ধে ভারতের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি গত শুক্রবার এ কথা বলেছেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ রুশ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করার পর কিরবি এ কথা বলেন।