মানুষের মস্তিষ্কে যন্ত্র স্থাপন করে পরীক্ষার অনুমতি

অনুমোদনের বিষয়টিকে এ গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চিকিৎসাকাজে ব্যবহৃত রোবট প্রদর্শন করছেন নিউরালিংকের উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। তাঁর এ প্রতিষ্ঠান মানুষের মস্তিষ্কে চিপ পরীক্ষার অনুমোদন পেয়েছে
ফাইল ছবি রয়টার্স

মানুষের মস্তিষ্কে যন্ত্র (একধরনের চিপ) স্থাপন (ইমপ্ল্যান্ট) করে প্রথমবারের মতো পরীক্ষার অনুমতি পাওয়া গেছে। এ পরীক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিউরালিংক। এর উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এই অনুমোদন দিয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানিটি দাবি করেছে। এটাই এ ধরনের প্রথম হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।

এই অনুমোদন পেতে জোর চেষ্টা চালিয়ে আসছিল নিউরালিংক। ফলে অনুমোদনের বিষয়টিকে এ গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এক টুইটে নিউরালিংক বলেছে, এফডিএর সম্মতিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যায়, একদিন যা অনেক মানুষকে সহায়তা করতে আমাদের প্রযুক্তিকে সুযোগ করে দেবে।

তবে গবেষণার উদ্দেশ্যের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি নিউরালিংক। শুধু বলেছে, এ গবেষণার জন্য এখনো স্বেচ্ছাসেবী নেওয়া হয়নি। শিগগির এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

অনুমোদনের বিষয়ে জানতে এফডিএ ও নিউরালিংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিক সংস্থা দুটি কোনো মন্তব্য করেনি।

ইলন মাস্কের আশা, মস্তিষ্কে যন্ত্র স্থাপনের ফলে স্থূলতা, অটিজম, বিষণ্নতা ও সিজোফ্রেনিয়ার মতো অনেক রোগ সারানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি ওয়েব ব্রাউজিং ও টেলিপ্যাথির মতো কাজগুলো করতে সক্ষম হবে।

গত বছরের শেষের দিকে মাস্ক খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন। ওই সময় মাস্ক বলেছিলেন, তিনি এই ডিভাইসগুলো যে নিরাপদ, সে বিষয়ে এত বেশি আত্মবিশ্বাসী যে সেগুলো নিজের সন্তানদের মধ্যে স্থাপনে ইচ্ছুক।

২০১৯ সাল থেকে অন্তত চারটি অনুষ্ঠানে মাস্ক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করবে নিউরালিংক।