আবর্জনায় পাওয়া গেল প্রায় ২ লাখ টাকা মূল্যের ব্যাগ
পরিবেশ রক্ষা করতে আজকাল পুরোনো বাতিল জিনিসকে পুনর্ব্যবহার উপযোগী করে তোলার বিষয়টি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গাদা গাদা পণ্য না কিনে মানুষ একই পণ্য বারবার ব্যবহার উপযোগী করে তুলছে, যেটি ‘আপসাইক্লিং’ নামে পরিচিত।
এর ফলে পুরোনো পণ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার দোকানগুলোতে ভিড় বাড়ছে।কেউ কেউ অন্যের ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসটি তুলে নিচ্ছেন। সম্প্রতি এক নারী ফেলে দেওয়া জিনিসের মধ্যে একটি লুই ভুইতোঁ ব্যাগ খুঁজে পেয়েছেন। লুই ভুইতোঁর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ওই ব্যাগের দাম ১ হাজার ৫৯০ মার্কিন ডলার (প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা)।
ব্যাগটি খুঁজে পেয়েছেন ক্লডিয়া ভন নামের এক নারী, যিনি একজন ইনফ্লুয়েন্সার। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে কীভাবে ঘর সাজিয়ে নেওয়া যায়, তিনি সে-সংক্রান্ত ভিডিও দেন।
কয়েক দিন আগে ক্লডিয়ার একটি ভিডিও দৈনন্দিন জীবনে অপচয়, মেরামত ও পুনর্ব্যবহার নিয়ে আলোচনাও উসকে দিয়েছে।
ভিডিওর শুরুতে ক্লডিয়াকে বলতে শোনা যায়, তিনি একটি অভিজাত এলাকায় ফেলে দেওয়া পণ্য কুড়াতে যাচ্ছেন। রাস্তায় গাড়ি চালাতে চালাতে তিনি ডাস্টবিনের পাশে রাখা বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখাতে থাকেন।
ক্লডিয়া ডাস্টবিনের পাশে একটি হ্যান্ডব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। সেটি ঠিক করা যাবে কি না, তা দেখতে তিনি সেটি তুলে নিয়ে গাড়িতে আসেন। ভালো করে পরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন, সেটি বিলাসবহুল ব্র্যান্ড লুই ভুইতোঁর একটি ব্যাগ। সেটির সত্যিই লুই ভুইতোঁর ব্যাগ কি না, তা পরীক্ষা করতে তিনি সঙ্গে সঙ্গে জগদ্বিখ্যাত ব্র্যান্ডটির ওয়েবসাইটে ঢোকেন।
কিছুক্ষণ স্ক্রল করার পর ক্লডিয়া অবাক বিস্ময়ে দেখেন, ব্যাগটি সত্যিই লুই ভুইতোঁর, দাম ১ হাজার ৫৯০ মার্কিন ডলার।
ক্লডিয়া ভিডিওতে আরও কিছু আসবাব দেখান, যেগুলো ফেলে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর কয়েকটি পুনর্ব্যবহারের উপযোগী।
ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই অবাক হয়ে মন্তব্য করেন, মানুষ এমন এমন জিনিস কী করে ফেলে দেয়!
একজন লেখেন, ‘প্রথমেই আমার মনে হয়েছিল, হয়তো কেউ ব্যাগটি চুরি করেছে, তারপর ভেতরের জিনিসপত্র নিয়ে সেটি ফেলে দিয়েছে।’
অন্য একজন লেখেন, ‘ব্যাগটি একেবারেই পুরোনো নয়, দারুণ জিনিস খুঁজে পেয়েছেন।’
আরেকজন লেখেন, ‘বাহ! পুরোনো জিনিস খোঁজার জন্য এটা তো দারুণ এলাকা।’