চীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাদ ধসে ১১ জন নিহত

উদ্ধারকাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা
ছবি: এএফপি

চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবনের ছাদ ধসে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে। ওই ভবনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শরীরচর্চাকেন্দ্র ছিল।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল রোববার স্থানীয় সময় বেলা তিনটার একটু আগে হিলংজিয়াং প্রদেশের কিকিহারে মিডল স্কুলের শরীরচর্চা ভবনের ছাদ ধসে পড়ে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভির খবরে বলা হয়, ওই দুর্ঘটনায় মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কোনো শিক্ষার্থী আছে কি না, তা জানা যায়নি। ওই ঘটনার তদন্ত চলছে।

স্থানীয় সংবাদপত্র হিলংজিয়াং ডেইলির খবর বলা হয়, দুর্ঘটনার সময় শরীরচর্চাকেন্দ্রে ১৯ ব্যক্তি ছিলেন। আট ব্যক্তি দুর্ঘটনায় বেঁচে গেছেন। তাঁদের মধ্যে চারজন পুরোপুরি অক্ষত আছেন। বাকি চারজনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত বের করে আনা হয়।

সিসিটিভিতে সম্প্রচার করে ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুরো ছাদ শরীরচর্চাকেন্দ্রের ওপর ধসে পড়ে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছেন।

টিভির খবরে বলা হয়, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিসের ১৬০ সদস্য যোগ দিয়েছেন। উদ্ধারকাজে ৩৯টি অগ্নিনির্বাপণ ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে।  

সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ধসে পড়া ছাদে শ্রমিকেরা পার্লাইট বোর্ড রেখেছিলেন। ভারী বৃষ্টিতে ওই সব বোর্ড ফুলে যায় যায়। ছাদ ধসে পড়ার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে এটি।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়, ওই ভবন নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তাব্যবস্থা এবং আইন প্রয়োগের শিথিলতার কারণে চীনের শিল্প এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। গত মাসে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণে অন্তত ৩১ জন নিহত হন। এরপর কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নয়নে কর্মকর্তারা প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেন।

গত এপ্রিলে রাজধানী বেইজিংয়ের একটি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ২৯ জন নিহত হন। প্রাণ বাঁচাতে অনেকে ভবনের জানালা দিয়ে লাফ দেন।

২০১৫ সালে তিয়ানজিনে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা ঘটেছিল। একটি রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৬৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন।