তিন বছর বয়সেই শিশুটি ক্যালিগ্রাফি শিখে গেছে

ক্যালিগ্র্যাফিতে ব্যস্ত শিশু ল্যাংল্যাংছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

চীনে তিন বছর বয়সী এক ছেলেশিশুর ক্যালিগ্রাফি দক্ষতা ইন্টারনেটে রীতিমতো মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। একটি লম্বা লাল রঙের কাগজের ওপর এক মনে ক্যালিগ্রাফি করে যাচ্ছিল শিশুটি। সে এমনভাবে তুলি ধরেছে, যেন সেটি তুলি নয়, বরং একটি ফিডার।

 তবে ছোট্ট হাতে লম্বা তুলিটি সে যেভাবেই ধরুক, তাতে তার ক্যালিগ্রাফি করায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যাওয়া ওই শিশুর ডাকনাম ল্যাংল্যাং। সে দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের বাসিন্দা।

ল্যাংল্যাংয়ের মা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাঁর ছেলে বাড়িতে বা অন্য কোথাও গিয়ে ক্যালিগ্রাফি শেখেনি। এমনকি এক মনে সে যেসব অক্ষর এঁকে চলেছে, সেগুলোর বেশির ভাগই সে চেনে না।

তবে ল্যাংল্যাংয়ের পরিবারের সদস্যরা ক্যালিগ্রাফির সঙ্গে জড়িত। পরিবারের ভেতরই সে ক্যালিগ্রাফি করতে দেখেছে। ল্যাংল্যাংয়ের মা নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।

শিশুটির মা বলেন, ‘আমরা তাকে চীনা অক্ষর চেনাতে বা লেখা শেখাতে কোনো চেষ্টাই করিনি। সম্ভবত পারিবারিক পরিবেশ থেকে সে নিজে নিজেই এটা শিখে গেছে। আমাদের ক্যালিগ্রাফি লিখতে ভালো লাগে। সে কখনো কখনো কাছে বসে আমাদের লিখতে দেখেছে। এই বছরের শুরুতে সে নিজেই ক্যালিগ্রাফি করার চেষ্টা করতে চাইল।’

ভিডিওতে ল্যাংল্যাংকে লাল রঙের যে লম্বা কাগজে ক্যালিগ্রাফি করতে দেখা যায়, চীনা ভাষায় সেটিকে ‘চুনলিয়ান’ বলে। বসন্ত উৎসবে শুভকামনা জানাতে চুনলিয়ানে নানা বার্তা লেখা হয়।

চান্দ্র নববর্ষের ছুটির সময় চীনারা বাড়ির দরজায় শুভকামনার বার্তা লেখা চুনলিয়ান বাড়ির দরজায় টানান।

ভিডিওতে দর্শকদের সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে ছেলেটির বিভিন্ন ধরনের ক্যালিগ্রাফি লেখার ক্ষমতা। সে সাধারণ ধরন থেকে জটিল ‘ক্যুরসিভ’ ধরনে ক্যালিগ্রাফি করতে পারে।

ল্যাংল্যাংয়ের ক্যালিগ্রাফির ওই ভিডিওর নিচে বহু মানুষ মন্তব্য করেছেন। একজন লেখেন, ‘সে সত্যি এক বিস্ময়কর প্রতিভা। অক্ষরগুলো কীভাবে লিখতে হবে, সে শুধু সেটাই মনে রাখেনি, বরং প্রতিবার তুলির টান কীভাবে দিতে হবে, সে সেটাও স্মরণে রেখেছে।’

আরেকজন লেখেন, ‘একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে আমি যেভাবে লিখি, তা এই বালকের চেয়ে অনেক বেশি অসুন্দর।’

একজন দুঃখ করে বলেন, ‘দয়া করে এত ভালো ক্যালিগ্রাফি অনুশীলন কোরো না। একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে আমাদের সম্মানে আঘাত লাগছে।’