রাশিয়া-চীন সম্পর্ককে বিশ্বশান্তির সহায়ক বললেন পুতিন-সি

রাশিয়া ও চীনের সম্পর্কের ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশ দুটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সি চিন পিং। আজ বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়েছবি: রয়টার্স

রাশিয়া ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক বিশৃঙ্খল এই বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার সহায়ক বলে মন্তব্য করেছেন দেশ দুটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও সি চিন পিং। আজ বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুজনের সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন তাঁরা। এ সময় ইউক্রেন যুদ্ধে আরও বড় পরিসরে সমর্থন জানাতে সির প্রতি আহ্বান জানান পুতিন। এর আগে গতকাল দুদিনের সফরে বেইজিং পৌঁছান পুতিন।

গত মার্চ মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর এটি ছিল পুতিনের প্রথম চীন সফর। আর ছয় মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সফর ছিল তাঁর। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কারণে পশ্চিমাদের নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে মস্কো। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে আসছে বেইজিং।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, আজ বেইজিংয়ের গ্র্যান্ড হল অব দ্য পিপলের বাইরে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুতিনকে স্বাগত জানান সি। পরে সাক্ষাতের সময় তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক’। বিশ্বে ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনতে রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন। জবাবে পুতিন বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে মস্কো ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক।

দুজনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর আজ নিজেদের দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর করা নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পুতিন ও সি। এদিন বিকেলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।

বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর কয়েক দিন আগে পুতিন ও সি নিজেদের মধ্যকার সহযোগিতা আরও গভীর করতে ‘সীমাহীন’ অংশীদারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে তাঁদের আদর্শিক লড়াইয়ের একধরনের বার্তাই তুলে ধরেছিল এটি। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থার মোড় ঘোরাতে বেইজিং এখনো মস্কোকে গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হিসেবে বিবেচনা করে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ছে। আবার রাশিয়ার সস্তা জ্বালানি চীনের জন্য সুবিধা এনে দিচ্ছে।