চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন কোথায়

কিন গ্যাং
ছবি: রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় চলতি সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। প্রায় দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। ফলে, তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত তিনটি সূত্র জানিয়েছে, কিন গ্যাংয়ের পরিবর্তে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই জাকার্তায় অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে চীনের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

আসিয়ান সদস্যভুক্ত দেশ ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠক করবেন বলে আগেই সময় ঠিক করা হয়েছে। পরদিন শুক্রবার পূর্ব এশিয়া সম্মেলন ও আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

কিন (৫৭) গত বছরের ডিসেম্বরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। গত ২৫ জুন শ্রীলঙ্কা, রাশিয়া ও ভিয়েতনামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কিনকে সর্বশেষ বেইজিংয়ে প্রকাশ্যে দেখা গেছে।

কিন গ্যাংয়ের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলেও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

কিনের অনুপস্থিতির বিষয়টি অনেকটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংবাদসংক্রান্ত নিউজপোর্টাল পলিটিকোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিনের কাছে কিনের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। পলিটিকোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাঁর অনুপস্থিতির পেছনে স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে বলে জল্পনাকল্পনা চলছে জানিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আসলে বিষয়টি কী। জবাবে ওয়াং বলেন, তিনি ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে ‘কিছু শোনেননি’।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক মুখপাত্র বলেন, ইইউর পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেলের সঙ্গে গত সপ্তাহে বেইজিংয়ে কিনের বৈঠক করার ছিল। কিন্তু চীনের পক্ষ থেকে ইইউকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই তারিখে বৈঠক করা সম্ভব নয়। এরপর ওই বৈঠক স্থগিত করা হয়।

বোরেলের ওই বৈঠকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ৫ জুলাই ওই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকের মাত্র দুই দিন আগে ইইউকে বৈঠক স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান ওয়াং ইর পদ কিন গ্যাংয়ের ওপরে। কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সরকারের পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান।