আইনস্টাইনসহ অবিকল মানুষের মতো দেখতে রোবট বিক্রি হচ্ছে চীনের দোকানে
আপনি কি চান কোনো রোবটকে সঙ্গী করে দাবা খেলতে? অথবা একটি রোবোটিক পোষা কুকুরের সঙ্গ পেতে? কিংবা প্রয়াত পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মতো দেখতে এমন কোনো রোবট চান কি, যা আপনাকে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব শেখাতে পারে? এ ধরনের সব রোবটই এখন এক ছাদের নিচে পাওয়া যাবে।
চীনের বেইজিংয়ে আজ শুক্রবার এমনই একটি নতুন দোকান চালু হয়েছে। সেখান থেকে সাধারণ মানুষ কিনতে পারবেন মানুষের মতো দেখতে রোবট। উবটেক রোবোটিকস, ইউনিট্রি রোবোটিকস–সহ চীনের ৪০টির বেশি ব্র্যান্ডের শতাধিক রোবট এখানে পাওয়া যাবে। দোকানটির নাম দেওয়া হয়েছে রোবট মল।
এই দোকান চীনের প্রথম কয়েকটি দোকানের একটি, যেখানে মানুষের মতো দেখতে এবং সাধারণ মানুষের কাজে ব্যবহারের উপযোগী রোবট বিক্রি হবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও রোবোটিকসে নেতৃত্ব দিতে চীনের যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা আছে, তারই প্রতিফলন ঘটেছে দোকানটিতে।
চীন এখন রোবট তৈরিতে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়া এবং অর্থনীতির ধীরগতিসংক্রান্ত সমস্যাগুলো মোকাবিলায় রোবট তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে তারা। গত বছর দেশটি এ কাজে দুই হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।
রোবট মলের পরিচালক ওয়াং ইয়িফান গত বুধবার বলেন, হাজার হাজার পরিবারের কাছে রোবটকে পৌঁছে দিতে চাইলে শুধু রোবট নির্মাতা কোম্পানিগুলোর ওপর নির্ভর করলেই হবে না। তিনি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
রোবট মলকে ‘ফোর এস’ বলে উল্লেখ করেছেন ইয়িফান। কারণ, এখানে বিক্রি, যন্ত্রাংশ নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরামর্শ—এই চার ধরনের সেবা পাওয়া যাবে। অর্থাৎ গাড়ির পরিবেশকের দোকানে যে ধরনের সেবা দেওয়া হয়, সেগুলোই এখানে পাওয়া যাবে।
নতুন দোকানটিতে থাকা রোবটের সর্বনিম্ন দাম দুই হাজার ইউয়ান (প্রায় ২৭৮ ডলার)। ১০ লাখ ইউয়ানের বেশি মূল্যের রোবটও আছে সেখানে।
নতুন দোকানে রোবটের সর্বনিম্ন দাম দুই হাজার ইউয়ান (প্রায় ২৭৮ ডলার)। ১০ লাখ ইউয়ানের বেশি মূল্যের রোবটও আছে সেখানে।
চীন এখন রোবট তৈরিতে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়া এবং অর্থনীতির ধীরগতিসংক্রান্ত সমস্যাগুলো মোকাবিলায় রোবট তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে তারা। গত বছর দেশটি এ কাজে দুই হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।
রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক নতুন নতুন উদ্যোগ গড়ে তুলতে সহায়তার জন্য নতুন করে ১৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার তহবিল বরাদ্দেরও পরিকল্পনা করছে বেইজিং।