এ যেন বড় এক ‘কুকুরছানা’

গুও শিংসানের ক্যামেরায় ‘কুকুরছানা পাহাড়’ছবি: এপি

বহমান নদীর পাশে মাটিতে থুতনি ঠেকিয়ে যেন বিশ্রাম নিচ্ছে বিশাল আকৃতির একটি কুকুরছানা। বেড়াতে গিয়ে তোলা ছবি ঘাঁটতে গিয়ে এমন এক দৃশ্য খুঁজে পান গুও শিংসান।

সাংহাইভিত্তিক ডিজাইনার গুও গত মাসের শেষদিকে মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশে নিজের শহর ইচাংয়ে বেড়াতে যান। সেখানে তিনি একটি পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন, বেশ কিছু ছবিও তোলেন।

পরে ছবিগুলো ঘাঁটতে গিয়ে একটি ছবিতে যে দৃশ্য দেখতে পান, সেটা তিনি আগে খেয়াল করেননি। ইয়াংসি নদীর পাশে একটি পাহাড়কে দেখে মনে হচ্ছে যেন একটি কুকুর মাটিতে মাথা রেখে বিশ্রাম নিচ্ছে।

১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ছবিটি পোস্ট করে গুও ক্যাপশনে লেখেন ‘কুকুরছানা পাহাড়’। তাঁর ওই পোস্ট চীনে আলোড়ন তোলে। প্রচুর পর্যটক পাহাড়টি দেখতে যেতে শুরু করেন।

গুও বলেন, ‘এটা দারুণ বিস্ময়কর ও মিষ্টি। এটা আবিষ্কার করতে পেরে আমি দারুণ আনন্দিত ও খুশি হয়েছিলাম। ওই কুকুরছানার ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে, সেটি পানি পান করছে অথবা মাছের দিকে তাকিয়ে আছে। এটাকে দেখে এমনও মনে হয়েছে যে সেটি নীরবে ইয়াংসি নদী পাহারা দিচ্ছে।’

চীনের একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি পোস্ট করেন গুও। ১০ দিনে ওই ছবির নিচে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি ‘লাইক’ পড়ে। উইবোতে কয়েক লাখ মানুষ ছবিটি দেখেন।

পোষা কুকুর আছে, এমন ব্যক্তিরা নিজেদের কুকুরের ছবি পোস্ট করা শুরু করেন। তাঁরা দেখতে চান, ওই পাহাড়ের সঙ্গে কার কুকুরের মুখ সবচেয়ে বেশি মিলে যায়।

অনেকেই পাহাড়টি নিজের চোখে দেখতে ইচাংয়ে ঘুরতে যান। কেউ কেউ সঙ্গে পোষা কুকুরও নিয়ে যান।

ইচাংয়ের জিগুই কাউন্টিতে পাহাড়টির অবস্থান। পর্যটকদের পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মাচার মতো যেসব জায়গা থাকে, সেখান থেকে ‘কুকুরছানা পাহাড়’ স্পষ্ট দেখা যায়।

চীনের সবচেয়ে দীর্ঘ নদী ইয়াংসি। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ নদীও বটে। একটি পাহাড়ি অঞ্চল দিয়ে ওই নদী বয়ে গেছে।

গুও ছবি পোস্ট করার পর অনেকে একই মাচা থেকে তোলা ওই পাহাড়ের ছবি পোস্ট করেন। তবে তাঁদের বেশির ভাগই স্বীকার করেন, পাহাড়টি যে একটি কুকুরছানার মুখের মতো দেখতে, সেটা তাঁরা আগে খেয়াল করেননি।

তাঁদের একজন ইচাংয়ের বাসিন্দা সি টং বলেন, তিনি আগেই ওই পাহাড় দেখেছেন এবং পাহাড়ের একই জায়গার একটি ছবিও পোস্ট করেন। ছবিটি ২০২১ সালে তোলা।

সি টং লেখেন, ‘আমি অনলাইনে পাপি মাউন্টেইনের ছবি দেখার পর খুঁজে দেখার চেষ্টা করি, এটি আসলে কোথায়। এবং তারপরই আমি বুঝতে পারি, আরে আমি তো আগেই ওই জায়গায় গিয়েছি। সে সময় আমার কাছেও মনে হয়েছিল যে পাহাড়টি একটি কুকুরের মতো দেখতে।’