চীনে এবার নতুন ধরনের নিউমোনিয়া নিয়ে উদ্বেগ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে মুখে মাস্ক পরে চলাচল করছেন লোকজন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে
ছবি: রয়টার্স

চীনে শিশুদের মধ্যে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগ ও নতুন ধরনের নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ১৩ নভেম্বর চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন এক সংবাদ সম্মেলনে শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগ বেড়ে যাওয়ার তথ্য জানায়। তবে চীনে ডব্লিউএইচওর দপ্তর বলেছে, এটি একটি ‘রুটিন’ কাজ।

করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর লকডাউনসহ বিভিন্ন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চীন। দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানায়, করোনা মহামারির পর সেসব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। এরপর ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া (একধরনের ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ, যা শিশুদের মধ্যে দেখা দেয়) ও রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, যা করোনাভাইরাসের জন্য দায়ী। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে শুরুতেই এ তথ্য না জানানোয় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল চীন ও ডব্লিউএইচও।

প্রোগ্রাম ফর মনিটরিং ডিজিজেসের (প্রোমেড) বরাতে গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, চীনের উত্তরাঞ্চলে শিশুদের ভেতর এক নতুন ধরনের নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ডব্লিউএইচও বলেছে, গত সপ্তাহে চীনা কর্তৃপক্ষ শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত রোগ বৃদ্ধির যে তথ্য জানিয়েছে, তার সঙ্গে এই প্রতিবেদনের কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না।

ডব্লিউএইচও বলেছে, সম্ভাব্য মহামারির বিষয়ে বাড়তি তথ্য চেয়েছে তারা। পাশাপাশি যেসব এলাকায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, সেখানকার গবেষণাগারের পরীক্ষার ফলও চেয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য নীতিমালার আওতায় এই অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে ডব্লিউএইচওর চীনা কার্যালয় বলেছে, রুটিন কাজের অংশ হিসেবে সদস্য দেশগুলোর কাছে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়া এবং শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত অসুস্থতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। চীনেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিভিন্ন গণমাধ্যম এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চেয়েছে। তাই চীন সম্পর্কে যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, একটি বিবৃতির মাধ্যমে সেটি সবাইকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।