যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসগুলোর ওয়েবসাইটেও একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রমোদতরিতে সাংহাইয়ে পৌঁছানো বিদেশিদের জন্য ভিসা মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা আবারও চালু হচ্ছে। হংকং, ম্যাকাও এবং আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোর পর্যটকেরাও একই সুবিধা পাবেন।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পর্যটক সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, করোনা মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে চীনে ৬ কোটি ৫৭ লাখ বিদেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন। করোনা মহামারি শুরুর পর নিজেদের আন্তর্জাতিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে চীন। পরে বিভিন্ন দেশ পর্যায়ক্রমে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নিলেও চীন অনেক দিন ধরে তা বহাল রেখেছিল। এ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে দেশটির জনগণ। ২০২২ সালের শেষ থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার শুরু করে বেইজিং।
গত বছর ডিসেম্বরের শুরুর দিকে চীনা কর্তৃপক্ষ গণহারে করোনা পরীক্ষা, লকডাউন এবং দীর্ঘ কোয়ারেন্টিনের বিধিগুলো তুলে নেয়। আর ডিসেম্বরের শেষের দিকে বেইজিং ঘোষণা করে ৮ জানুয়ারি থেকে বিদেশি ভ্রমণকারী ব্যক্তিদের আর কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন নেই। সে সময় বেইজিং বলেছিল, মহামারি পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে বিজ্ঞানসম্মত উপায় মেনে বিদেশিদের জন্য ভিসা নীতি সাজানো হবে।