আইএফএল সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটে । স্ত্রী ডিম্বাণু ও পুরুষ শুক্রাণু নিষিক্ত হওয়ার পর যে কোষগুলো গড়ে ওঠে, সেগুলো যদি যথাযথভাবে বিভক্ত না হতে পারে, তখনই এমন অবস্থা তৈরি হয়। তখন একটি ভ্রূণ আরেকটি ভ্রূণের আড়ালে চলে যায়। যমজ ভ্রূণের কোষ দিয়ে পরিবেষ্টিত থাকায় আড়ালে চলে যাওয়া ভ্রূণটি বাড়তে পারে না। তবে রক্ত সরবরাহ থাকায় এ ভ্রূণ ‘জীবন্ত’ থাকে। এ অবস্থাকে ‘পরজীবী যমজ’ নামেও ডাকা হয়ে থাকে।
এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেনি। মিসরে ১৯৯৭ সালে এক কিশোরের পেটে একটি ভ্রূণ শনাক্ত হয়। তখন জানা যায়, ১৬ বছর ধরে ভ্রূণটি ওই কিশোরের পেটে ছিল। শুধু তা–ই নয়, গত বছরের নভেম্বরে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে ২১ দিন বয়সী এক নবজাতকের পাকস্থলী থেকে আটটি ভ্রূণ সরানো হয়েছিল।