সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে তৈরি হলো অফিস
একসময় ছিল সুইমিংপুল। চলত গোসল, সাঁতার কাটা। সেখানেই এখন দিব্যি চলছে অফিস। পানি সরিয়ে পুলের ভেতরে চেয়ার-টেবিল পেতে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কাজের সময় ধাতব মই বেয়ে পুলের ভেতরে নামছেন তাঁরা। অফিস শেষে আবার মই বেয়ে উঠে ফিরছেন নিজ নিজ গন্তব্যে।
ঘটনাটি ঘটেছে চীনের সিচুয়ান প্রদেশের চেংডু শহরে। অফিসটি লুবান ডেকোরেশন গ্রুপ নামের একটি অন্দরসজ্জা প্রতিষ্ঠানের। ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী সম্প্রতি অনলাইনে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। তারপরই সুইমিংপুলের ভেতরে তাঁদের নতুন অফিসের বিষয়টি সামনে আসে। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে চীনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ওই প্রতিষ্ঠানের ভবনে এখন একই তলায় ব্যায়ামাগার, সুইমিংপুল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জায়গা। ব্যায়ামাগারের দরজা খুলেই নামা যায় পানিশূন্য সুইমিংপুলের ভেতরে তৈরি করা কাজের স্থানে। তবে সেখানে এখনো রয়েছে গেছে ‘সুইমিংপুল’ লেখা ফলক। তাতে এখনো লেখা ‘১ দশমিক ৫৫ মিটার গভীর পানির এলাকা’।
অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে কর্মকর্তাদের জন্য পাঁচ সারি ডেস্ক বসানো হয়েছে। বিদ্যুতের লাইন বসানো হয়েছে পুলের মেঝেতে। লুবা ডেকোরেশন গ্রুপের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার মনে হয় কল্পকাহিনির চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছি।’ আরেক কর্মচারী বলেন, এভাবেই দুই মাস ধরে অফিস করছেন তাঁরা।
সুইমিংপুলের পানি সরিয়ে অফিস বানানোর পর এর নিরাপত্তা নিয়েও সমালোচনা করছেন অনেকে। অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বেইজিংয়ের আইনি প্রতিষ্ঠান ‘ইংলি’র অংশীদার ওয়াং মিং মনে করেন, এই অফিসে প্রয়োজনীয় অগ্নিনিরাপত্তা নেই। আগুন লাগলে কর্মীরা জরুরি ভিত্তিতে অফিস থেকে কীভাবে বিকল্প পথে বের হবেন, তারও কোনো ব্যবস্থা নেই।
আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, এভাবে অফিস বানানো ভবন নির্মাণ আইনের লঙ্ঘন। তবে এরই মধ্যে অফিসটি পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রেড স্টার নিউজকে তাঁরা জানিয়েছেন, অস্থায়ী এই অফিস খালি করে দেওয়া হয়েছে।