ঘটনাটি ঘটেছে চীনে। ওই নারী দেশটির হেইলংজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা। নাম হংজুয়ান। তাঁর নিজের কৃষিজমি ও গরু রয়েছে। হংজুয়ানয়ের স্বামীর নাম ডাচেং। অনলাইনে দুজনের পরিচয়ের পর ডাচেন বলেছিলেন, তাঁর নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে। রয়েছে তিনটি বাড়ি। আর ব্যাংকে আছে ১১ লাখ ইউয়ান।
পরিচয়ের ২০ দিন পর বিয়ে করেন দুজন। বিয়ের দিন হংজুয়ানকে তাঁর স্বামী বলেন, শহরে গিয়ে ভালো একটা জীবন কাটাতে চান। এ জন্য দরকার অর্থ। এ কথা শুনে ১৭ হাজার ইউয়ানে নিজের দুটি গরু বিক্রি করে দেন হংজুয়ান। তবে শহরে গিয়ে মহাবিপত্তিতে পড়েন তিনি।
হংজুয়ান দেখতে পান, তাঁর স্বামী ডাচেং যে বাড়ি নিজের বলে দাবি করেছিলেন, সেটি আসলে ভাড়া করা। আর ডাচেং কখনোই কাজে যেতেন না। আসক্ত ছিলেন লটারির টিকিট কেনায়। গরু বিক্রির অর্থও লটারির টিকিট কিনতে খরচ করেছিলেন তিনি।
গরু বিক্রির অর্থ শেষ হলে গত জানুয়ারিতে হংজুয়ানকে বাবার বাসায় চলে যেতে বলেন ডাচেং। এরপর তিনি স্ত্রীকে একা রেখে চলে যান। তবে হংজুয়ানের কাছে বাবার বাসায় যাওয়ার মতো অর্থও ছিল না। ফলে স্বামীকে ফোন করেন। তখন আবিষ্কার করেন, স্বামী তাঁর ফোন নম্বর বদলেছেন। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অ্যাকাউন্টগুলোও ডিলিট করে দিয়েছেন।
এরপরও স্বামী ডাচেংয়ের ওপর থেকে বিশ্বাস হারাননি হংজুয়ান। শেষ ভরসা হিসেবে যান স্বামীর ব্যাংকে। সেখানে গিয়েও হতাশ হতে হয় তাঁকে। তিনি জানতে পারেন, ব্যাংকে তাঁর স্বামীর ১১ লাখ ইউয়ান থাকার কথাটা আসলে মিথ্যা। শেষমেশ বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ডাচেংকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, ‘আমি গরুর জন্য তাঁকে বিয়ে করেছিলাম। যখন দেখলাম, তাঁর কাছে আর অর্থ নেই। তাঁকে ছেড়ে চলে গেলাম।’