অস্ট্রেলিয়াকে কড়া জবাব দিল চীন

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও
ফাইল ছবি: এএফপি

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে চীন। তারা বলছে, আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ার সেনাদের করা যুদ্ধাপরাধ থেকে ‘মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে নিতে’ দেশটি এসব করছে। আজ বিবিসির খবরে এসব কথা বলা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার এক সেনার ভুয়া ছবি টুইটারে পোস্ট করার ঘটনায় গতকাল সোমবার চীনকে ক্ষমা চাইতে বলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। সেই সঙ্গে ওই ছবি সরিয়ে ফেলারও দাবি জানান। এর এক দিন পরই আজ মঙ্গলবার চীনের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও তাঁর অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে সোমবার একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ান ওই সেনা এক আফগান শিশুর গলায় রক্তমাখা ছুরি ধরে রেখেছেন।

এ ঘটনাকে তাদের জন্য ‘সত্যিই অপমানজনক’ বলে মনে করছে অস্ট্রেলিয়া। ঘটনাটিকে দুই দেশের সম্পর্ক অবনতিতে আরও একটি ধাপ বলে মন্তব্য করেছেন স্কট মরিসন।

সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।

আজ অস্ট্রেলিয়ার চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে ক্ষমা না চেয়ে পাল্টা আক্রমণ করা হয়। দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অভিযোগ করার পেছনে দুটি উদ্দেশ্য রয়েছে। একটি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিছু সেনাসদস্যের ভয়াবহ নৃশংস কর্মকাণ্ড থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া। আর অপরটি হলো দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতির জন্য চীনকে দায়ী করা। পাশাপাশি দেশের ভেতর জাতীয়তাবাদকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে এটি।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আফগানিস্তানে অস্ট্রেলিয়ার সেনারা যে অপরাধ করেছেন, দেশটির তার মুখোমুখি হওয়া উচিত। অপরাধীদের জবাবদিহি করার পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, এটি সত্যি আপত্তিকর এবং কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। চীন সরকারের এ বিষয়ে লজ্জিত হওয়া উচিত। এ ঘটনা বিশ্বের চোখে তাদের আরও নিচে নামিয়ে দিয়েছে।

টুইটারকে ছবিটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
আফগান যুদ্ধের সময় অস্ট্রেলিয়ার সেনাদের অসদাচরণের বিষয়ে চার বছরের তদন্ত শেষে সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স (এডিএফ)। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার সেনাদের হাতে আফগানিস্তানে ৩৯ জন নিরীহ মানুষকে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার দেশটির সেনাপ্রধান জানান, এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ বাহিনীর ১৩ জনকে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন