এক হাজার চীনা গবেষক যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা
ছবি : রয়টার্স

কথিত প্রযুক্তি চুরির অভিযোগ থেকে বাঁচতে এক হাজারেরও বেশি চীনা গবেষক যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন। গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, চীনা এজেন্টরা ইতিমধ্যে বাইডেন–ঘনিষ্ঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের লোকজনকে লক্ষ্য করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মার্কিন বিচার বিভাগের জাতীয় সুরক্ষা বিভাগের প্রধান জন ডেমারস অ্যাস্পেন ইনস্টিটিউটের থিঙ্কট্যাংক আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় বলেছেন, শিল্প ও প্রযুক্তিগত গুপ্তচরবৃত্তির জন্য চীনা অপারেটরদের বিরুদ্ধে বিভাগ একাধিক ফৌজদারি মামলা শুরু করার সময় গবেষকেরা দেশ ত্যাগ করেন।

বিচার বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে স্টেট ডিপার্টমেন্ট যেসব চীনা নাগরিকের ভিসা প্রত্যাহার করেছিল, এ গ্রুপ তাদের চেয়ে আলাদা। শিক্ষার্থী ও গবেষকদের নিরাপত্তাঝুঁকি বিবেচনায় গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপে এক হাজার ব্যক্তির ভিসা প্রত্যাহার করে দেশটি।

ওই কর্মকর্তা বলেন, জন ডেমারস যাঁদের কথা উল্লেখ করেছেন, মার্কিন কর্তৃপক্ষ মনে করে, তাদের সঙ্গে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এফবিআই ২০ শহরে সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু করার পর এবং গত জুলাই মাসে চীনের হাউসটন কনস্যুলেট বন্ধের পর তাঁরা পালিয়ে গেছেন।

ডেমারস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সিগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেখেছে, বিদেশি প্রভাব কার্যকলাপ চালানোর ক্ষেত্রে কেবল ‘চীনাদেরই সম্পদ, ক্ষমতা ও ইচ্ছা আছে’।

যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্টার ইনটেলিজেন্সের প্রধান উইলিয়াম ইভানিনা বলেছেন, চীনা এজেন্টরা ইতিমধ্যে জো বাইডেনের আগত প্রশাসন ও তাঁর কাছের লোকজনকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।

ইভানিনা দাবি করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এজেন্সিগুলোর তদন্তের অধীনে থাকা চীনা গবেষকেরা সবাই চীন সরকারের নির্দেশে এখানে এসেছিলেন।

এদিকে, চীন সরকার বলেছে, এ বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ভিসা কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি ‘নগ্ন’ রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং জাতিগত বৈষম্য, যা মারাত্মকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।

বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে চীন-মার্কিন সম্পর্ক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপের দিকে গেছে। দুটি দেশ বাণিজ্য, প্রযুক্তি, হংকং ও করোনাভাইরাসের মতো নানা বিষয় নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে।